কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় মৃত্যু বেড়ে ২০১

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৪, ০৪:১৫ এএম

কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় মৃত্যু বেড়ে ২০১

গ্রাফিকচিত্র/দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ

রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষে আহত হয়ে প্রাণ হারালেন চিকিৎসাধীন থাকা আরও চারজন। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৩ ও মঙ্গলবার সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন প্রাণ হারান।

এই নিয়ে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতে ২০১ জনের মৃত্যুর খবর দিলো জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো। বেশ কয়েকটি হাসপাতাল, লাশ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ১৬ জুলাই ৬ জন, ১৮ জুলাই ৪১, ১৯ জুলাই ৮৪, ২০ জুলাই ৩৮, ২১ জুলাই ২১, ২২ জুলাই ৫, ২৩ জুলাই ৩ ও গতকাল বুধবার (২৪ জুলাই) আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২-২৪ জুলাই মৃত্যু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হয়েছে।

গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেলে প্রাণ হারানো তিনজনের পরিচয়- রিয়া গোপ (৬), শাহজাহান হৃদয় (২১) ও সাজেদুর রহমান (২২)। তিনজনই ছিলেন গুলিবিদ্ধ। এর মধ্যে সবচেয়ে মর্মান্তিক রিয়া গোপের আহত হওয়ার ঘটনা। কোটা আন্দোলন চলাকালীন পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে বাসার ছাদে ওঠে রিয়া। এ সময় পুলিশের একটি ফাঁকা গুলি এসে লাগে তার শরীরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। এরপর গতকাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

ঢাকা মেডিকেলে মেয়ে রিয়া গোপের লাশের অপেক্ষায় থাকা বাবা দীপক কুমার গোপ প্রথম আলোকে বলেন, “নারায়ণগঞ্জ সদরে আমরা থাকি। গত ১৯ জুলাই আমার মেয়ে বাসার ছাদে খেলতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তারপর তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হলো।”

ঢাকা মেডিকেলে থাকাকালীন প্রথম আলোকে শাহজাহান হৃদয়ের বোন কুলসুম আক্তার বলেন, “গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত একটার দিকে হাসপাতাল থেকে আমাদের ফোন করে শাহজাহানের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর জানানো হয়। শাহজাহান মহাখালীতে থাকতেন।”

নিহত সাজেদুর রহমানকে যাত্রাবাড়ীর একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার ভাই সিরাজুল প্রথম আলোকে বলেন, “রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় সংঘর্ষের সময় আমার ভাই সাজেদুর গুলিবিদ্ধ হন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি চাকরিও করতেন।”

এদিকে সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির নাম তুহিন আহমেদ (২৬)। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোববার তুহিনকে হাসপাতালে আনা হয়। তার পেটে গুলি লেগেছিল। পেশায় তিনি রাজমিস্ত্রি ছিলেন।

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষের পর বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে অংশগ্রহণকারী একাধিক মন্ত্রী প্রথম আলোকে জানান, আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় যত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তার সঠিক সংখ্যা নিরূপণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার মাধ্যমে সমগ্র দেশের এই তথ্য সংগ্রহ করা হবে বলেও জানান তারা।

Link copied!