করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে দুইডোজ বা তিনডোজ নেওয়ার নিয়ম থাকলেও সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে একে একে ১১ ডোজ টিকা নেওয়ার দাবি করেছেন ভারতের এক বৃদ্ধ। ১২তম ডোজ নিতে গেলে তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েন। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত আট ডোজের কথা স্বীকার করেছেন।
বিবিসির খবর অনুসারে, বিহারের বাসিন্দা ব্রহ্মদেব মণ্ডল এই অভাবনীয় ঘটনা ঘটিয়েছেন। ৬৫ বছর বয়সী এ ব্যক্তি অবসরপ্রাপ্ত একজন ডাকপিয়ন। শারীরিক ব্যথা থেকে মুক্তি পেতেই ১১ ডোজ টিকা নিয়েছেন এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন ব্রহ্মদেব। গত সপ্তাহে ১২তম ডোজ নেওয়ার সময় ধরা পড়েন তিনি।
গত সপ্তাহে একটি টিকাকেন্দ্রে গিয়ে মন্ডল জানান এটি তার ১২তম টিকা হবে। বিষয়টি জানতে পেরে তাকে টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্যকর্মীরা। মধ্যপুরা জেলার এই বাসিন্দা কীভাবে এতোগুলো টিকা পেয়েছেন তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মাধেপুরা জেলার এই বাসিন্দা কীভাবে এতগুলো টিকা নিলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সিভিল সার্জন অমরেন্দ্র প্রতাপ শাহী বলেছেন, আমরা এরই মধ্যে প্রমাণ পেয়েছি, তিনি চার জায়গা থেকে আটটি ডোজ নিয়েছেন।
অমরেন্দ্র প্রতাপ শাহী বলেন, এমনটি কীভাবে ঘটলো তা নিয়ে আমরা হতবাক। মনে হচ্ছে, এটি পোর্টালের ব্যর্থতা। তবে টিকাকেন্দ্র পরিচালনাকারীদের কোনো অবহেলা ছিল কিনা তাও দেখা হচ্ছে।
গত বছরের ১৬ জানুয়ারি টিকাদান শুরুর পর থেকে ভারত মূলত স্থানীয়ভাবে তৈরি দুটি টিকা- কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন ব্যবহার করছে। এগুলোর দুই ডোজের মধ্যে যথাক্রমে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ ও চার থেকে ছয় সপ্তাহের ব্যবধান রাখার নিয়ম।
দেশটিতে টিকা নেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এরপরও ভারতজুড়ে সরকারিভাবে ৯০ হাজারের বেশি টিকাদান কেন্দ্র চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেক কেন্দ্র রয়েছে যেখানে আগে থেকে অনলাইন নিবন্ধন না করে সরাসরি হাজির হলেই টিকা দেওয়া হয়। নিবন্ধনের জন্য সুবিধাভোগীদের বায়োমেট্রিক কার্ড, ভোটার আইডি বা ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্তত ১০টি নথি জমা দিতে হয়। এসব তথ্য একত্রিত করে ভারত সরকারের টিকা সংক্রান্ত পোর্টাল কোউইনে আপলোড করা হয়।