ডিসেম্বর ১৯, ২০২১, ০৭:৩৮ পিএম
লাল-সবুজের মানচিত্রের ৫০ বছর । ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত দিয়ে আঁকা মানচিত্রটি পেতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল গোটা বাংলাদেশ। এই ধ্বংসস্তূপ থেকে 'সোনার বাংলা' নামে একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও বৈষম্যবিহীন দেশ গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শক্তহাতে হাল ধরার মুহুর্তেই তাকে সরিয়ে দিয়ে আরেকবার বাঙালি জাতিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল ঘাতকরা। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে সোনার বাংলার স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটায় ঘাতকরা।
সৌভাগ্যবশত পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। সব হারানোর দুঃখ-কষ্টগুলোকে নিজের বুকে চেপে রাখে জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্নকে আবারও জাগিয়ে তোলার দায়িত্বটি নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে সে পথে কাজ শুরু করেন শেখ হাসিনা। ৫০ বছর আগে শূন্য থেকে যাত্রা করা দেশটি নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে দুরন্ত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। সব প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র পা দিয়েছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) সুপারিশে গত ২৫ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ হবে পরিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের সবশেষ প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল- ২০২১’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ২০২০ সালের সূচকে বিশ্বের ১৯৬টি দেশের মধ্যে ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যদ্বাণী করে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১৫ বছর পর অর্থাৎ ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।
দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
২০০৯ সালে ৭০৯ ডলারের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স যখন ৫০-এ দাঁড়িয়ে, এমন মাহেদ্রক্ষণে নতুন উচ্চতায় উঠে এল রিজার্ভ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। ২০০৯ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। এখন তা ৪৮ বিলিয়ন (৪ হাজার ৮০০ কোটি) ডলারের মাইলফলক অতিক্রম অতিক্রম করেছে। ২০০৮ সালে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল মাত্র সাড়ে ৫ শতাংশ। এ বছর ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এই অঙ্গীকারকে বাস্তবায়ন করে শতভাগ বিদ্যুতায়নের দ্বারপ্রান্তে দেশ। বিদ্যুতে সবার মধ্যে এসেছে জাতীয় গ্রিডের আওতায় থাকা সব গ্রাম ও পরিবার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিষ্ময়কর উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০০৯ সালে দেশে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার দেশ পরিচালনা শুরু করে গত ১২ বছরে তা বেড়ে বর্তমানে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়ায় মানুষের আয়ও বেড়েছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব
দক্ষিণবঙ্গের মানুষের স্বপ্নের সেতু পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। এই সেতু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামোগত প্রকল্প। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতুতে ঋণ প্রকল্প বাতিল করছে প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ৩ কোটি মানুষ এই সেতুর মাধ্যমে মোংলা বন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী এবং বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ করবে, বাড়বে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। এতে দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়তে পারে প্রায় ১ দশমিক ২ শতাংশ।
কর্ণফুলী টানেল
‘ওয়ান সিটি-টু টাউন’ মডেলে চট্টগ্রাম শহরের সাথে আনোয়ারাকে যুক্ত করতে কর্ণফুলী নদীর তলদশে তৈরি হচ্ছে সাড়ে তিন কিলোমিটারের সুড়ঙ্গপথ। চীনা অর্থায়নে চলমান বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি)। ইতিমধ্যে একটি টিউবের কাজ শেষ হয়েছে। অন্যটির কাজ চলমান আছে। চুক্তি অনুসারে, আগামী ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর মধ্যেই কাজটি শেষ করা যাবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন।
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৯ শতাংশের বেশি ভৌতকাজ এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে।এর মাধ্যমে পারমানবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের তালিকায় নাম লেখাবে বাংলাদেশ। মহামারীর কারণে অন্য অনেক প্রকল্প সাময়িক গতি হারালেও এ প্রকল্প সেভাবে বাধাগ্রস্ত হয়নি। এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজের ২৬ শতাংশের মত শেষ হয়েছিল মার্চে মহামারীর শুরুর আগে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের প্রথম রিঅ্যাক্টর, প্রেসার ভেসেল ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। রাশিয়ার সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালের অক্টোবরে উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
মেট্রোরেল চাপ কমাবে রাজধানীবাসীর
২০১৬ সালের ২৬ জুন উদ্বোধন দেশের প্রথম মেট্রোরেলের তিনবার ট্রায়াল হয়ে গিয়েছে। আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যাত্রী চলাচল করার আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। প্রথম ধাপে প্রতিদিন ২৪টি ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে ট্রেনগুলো। প্রতি চার মিনিট পরপর চলবে মেট্রোরেল। প্রতি ঘণ্টায় ২২ হাজার যাত্রী আসা-যাওয়া করতে পারবে। প্রতিদিন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে প্রায় ৫ লক্ষ। মেট্রোরেলে চড়ে একজন যাত্রী উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যেতে পারবেন মাত্র ৩৫ মিনিটে।
সমুদ্র বিজয়ে নতুন দিগন্ত
বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে সরকার গঠন করার পর ২০০৯ সালে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য হেগের সালিশি আদালতে নোটিশ করে। এর পথ ধরেই ২০১২ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমার রায় পায়। এতে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের রাষ্ট্রীয় সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল মহীসোপান এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। যা মুক্তিযুদ্ধের পর বাঙালীর শ্ৰেষ্ঠ অর্জন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে ৫৭ তম দেশ হিসেবে মহাকাশে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশের নাম। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের সবক’টি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার ছাড়াও ৩১টি দ্বীপে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কয়েকটি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১-এর সেবা গ্রহণ করছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে, যার ২০টি বাংলাদেশ ব্যবহার করবে। বাকি ২০টি অন্যান্য দেশকে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ
ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর কোন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। গত ১২ বছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা, ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং, মোবাইল মানি ট্রান্সফারসহ সকল কার্যক্রম অনলাইনে করা যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের এই মহামারির সময়ে যখন মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে, তখন ডিজিটাল প্রযুক্তি যোগাযোগের এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হয়। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে শিক্ষা কার্যক্রম হয়েছে ইন্টারনেট ভিত্তিক।
দেশের ১৮ হাজার ৪৩৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ৩ হাজার ৮০০ ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সময় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
শিক্ষায় সাফল্য
প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়েছে, সেইসঙ্গে শিক্ষার্থী ঝরে পড়াও অনেক কমেছে। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর শতকরা হার ছিল মাত্র ৬১, বর্তমান সরকার তা উন্নীত করেছে শতকরা ৯৭.৭ ভাগে। ২০০৯ থেকে গত ১২ বছরে দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্য দেশে অনেকগুলো সরকারি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিগুন বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮ লাখে উন্নীত হয়েছে। মহামারি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যথাসময়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিয়ে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে সরকার। ইতোমধ্যে স্কুলে স্কুলে চলছে করোনা টিকাদান কর্মসূচি।
করোনাকালীন বিশ্ব নেতৃত্বে বাংলাদেশ
করোনা মোকাবেলায় দুরদর্শী পদক্ষেপের কারনে বৈশ্বিকভাবেও প্রশংসিত হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বিশ্বের নিরাপদ দেশের তালিকায় ২০তম স্থান অধিকার করে। অনেক উন্নত দেশের চাইতেও বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রনে ছিলো বলে উঠে এসেছে সেই প্রতিবেদনে। এছাড়া দ্রুত টিকা প্রদানের মাধ্যমে উন্নয়নশীল অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে।
দুস্থ ও অসহায়দের সহায়তা কর্মসূচি
শেখ হাসিনার সরকার দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য হ্রাস এবং সামাজিক নিরাপত্তা বলয় সুসংহত করে জনসাধারণের জীবনমানের উন্নয়নে দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার ফসল একটি বাড়ি একটি খামার পল্লী উন্নয়নের এক কার্যকর মডেল। ইতিমধ্যে প্রায় ৩ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের আওতায় এসেছে। পল্লী সঞ্চয়কে উৎসাহিত করতে রয়েছে বহুমুখী প্রকল্প—যা পল্লী জনপদের মানুষদের দারিদ্র্যতার বেড়াজাল থেকে উত্তরণের পথ সুগম করে দিয়েছে।
গৃহহীনদের ঘর প্রদান
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশের ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি ঘরহীন পরিবারকে আধাপাকা ঘর নির্মাণের একটি বড় কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। ইতোমধ্যে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে আধা পাকা ঘর বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এটিই বিশ্বে গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে ঘর করে দেওয়ার সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ।