আগস্ট ২৪, ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
ফরিদপুরের নগরকান্দায় প্রতিপক্ষ ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সমর্থক কবির ভূঁইয়াকে হত্যার অভিযোগে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত একটার দিকে নগরকান্দা থানায় তাকে হুকুমের আসামি করে এই মামলা করেন কবিরের স্ত্রী মোনজিলা বেগম। এ ছাড়া এতে ৩৬ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান তিনি।
নিহত কবির ভূঁইয়ার পরিচয়- তিনি নগরকান্দা পৌরসভার ছাগলদী মহল্লার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ২১ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে শহীদুল ইসলাম ওরফে বাবুলের পথসভা আয়োজন করা হয় নগরকান্দা পেট্রল পাম্পের সামনে। এই খবরে শামা ওবায়েদ ওই পথসভা পণ্ড করার জন্য নিজের সমর্থকদের নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে শামা আরও নির্দেশ দেন: যা কিছু হোক, যেভাবেই হোক, লোক মারতে হলে মারবে, তবু শহীদুলের পথসভা করতে দেওয়া যাবে না। তাতে খুন–জখমের মামলা-মোকদ্দমা যা-ই হোক, আমি দেখবো। টাকাপয়সা যত লাগে আমি দেবো। এরপর কবিরকে আসামিরা ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
এই মামলায় এজাহারভুক্ত ৩৬ জনের মধ্যে নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বাবুল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান মুকুল (৫০) ও তার ভাই মাসুদুর রহমান অন্যতম।
২১ আগস্ট কৃষক দল নেতা শহীদুল ইসলামের মোটর শোভাযাত্রা করে ঢাকা-ভাঙ্গা চৌরাস্তা হয়ে নগরকান্দা উপজেলা সদর ও তালমার মোড় হয়ে ফরিদপুর শহরে এসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নগরকান্দা সদরে শহীদুল ইসলামের সমর্থকদের ওপর হামলা করে শামা ওবায়েদের সমর্থকরা। এরপর ওই বাজারে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপনের জন্য সশস্ত্র মহড়া দেয় শামার সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, ২১ আগস্ট রাতেই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা আলাদা দুই চিঠিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ শহীদুল ইসলাম ও শামা ওবায়েদ দুজনেরই সব পদ স্থগিত করা হয়।