ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের সরকার বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হাঁকডাক দিলেও এখন প্রমাণিত যে, বর্তমান সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক।’
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিজভী বলেন, ‘সরকার বিগত ১৬ বছরে কখনোই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী তখনও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। কারণ এই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে সরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে সব নিত্যপণ্যের দর অস্বাভাবিক। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী সাধারণ জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫০০-১১০০ টাকা। এছাড়া গত বছরের তুলনায় আলুর দাম ১০৮ শতাংশ, রসুন (আমদানি) ৪৩ শতাংশ, আদা (দেশি) ৬০ শতাংশ, পেঁয়াজ (দেশি) ১৮৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, পেঁয়াজ (আমদানি) ২২৮ শতাংশ বেড়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সরকার গরুর মাংস, দেশি পেঁয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু তার কোনো কার্যকারিতা বাজারে নেই। বেঁধে দেওয়া ২৯টি পণ্যের দামতো কমেইনি, বরং বেড়েছে। সুতরাং সরকারের এই তৎপরতা জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার জন্যই, সেটা এখন স্পষ্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ এসব প্রতারণা বুঝে ফেলায় সরকারি দলের নেতারা এখন ন্যাক্কারজনকভাবে বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির দায় বিরোধীদলের ওপর চাপাতে চাইছে। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ডামি সরকার অপপ্রচার, অপবাদ আর হুমকির আশ্রয় নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার চোখ রাঙিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষোভকে দমিয়ে রাখতে চাইছে।’
রিজভী বলেন, ‘জনদুর্ভোগ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ সব অন্যায়-অবিচারের মূল কারণ জবাবদিহিতাবিহীন অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার ও একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদগ্র আওয়ামী বাসনা। তাই জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার মূলে আঘাত করতে হবে এবং জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক, লুটেরা ও প্রতারক ডামি সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে, জনগণকেই এ মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’