ইশরাক সমর্থকরা ফের নগর ভবনে, সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ১৫, ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম

ইশরাক সমর্থকরা ফের নগর ভবনে, সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথ পড়ানোর দাবিতে ফের নগর ভবনে অবস্থান নিয়েছেন তার সমর্থকেরা। নগর ভবনে উপস্থিত রয়েছেন ইশরাক নিজেও।

এ নিয়ে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নের আন্দোলন দ্বিতীয় মাসে গড়াল। এ আন্দোলনের কারণে গত এক মাস ধরে নগর ভবন কার্যত বন্ধ রয়েছে।

ঈদের ১০ দিনের ছুটির পর রোববার সরকারি অফিস খুললেও তালা খোলেনি নগর ভবনের। রোববার সকাল থেকেই নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নের কর্মীরা। ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন তারা। পরে বেলা ১১টার দিকে সেখানে প্রবেশ করেন ইশরাক হোসেন।

এসময় ইশরাক হোসেন দাবি করেন, ‘মেয়রের শপথ পড়ানো সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।’

ইশরাক বলেন, ‘জনগণের ভোগান্তি চাই না, কিন্তু এই আন্দোলন চলমান থাকবে; এটাই জনগণের দাবি।’

সরকার যদি ভাবে এমনি আন্দোলন থেমে যাবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, ‘গণতান্ত্রিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান চলবে। এখন আর আন্দোলন থামানোর কোনো সুযোগ নেই। বিরতিহীনভাবে অবস্থান কর্মসূচি চলবে। দৈনন্দিন সেবা আমাদের তত্ত্বাবধানে চালু করা হবে।’

গত ১৪ মে থেকে নগর ভবনের সামনে ‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে ইশরাক সমর্থক ও বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে ডিএসসিসি কর্মচারী ইউনিয়নও তাতে যোগ দেয়।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনকে পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হন আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস।

ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গেল ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল সেই ফল বাতিল করে অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।

এরপর ২৭ এপ্রিল ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু আইনি জটিলতার কথা বলে ইশরাকের শপথের আয়োজন থেকে বিরত থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এমন পরিস্থিতিতে ইশরাক সমর্থকরা আন্দোলনে নামলে নগর ভবন কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

Link copied!