সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ঠিক হয়নি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০৫:১১ পিএম

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ঠিক হয়নি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ঠিক হয়নি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তার দপ্তর কক্ষে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা এবং বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত।’

তিনি আরও বলেন, ‘পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে ও যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হোলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামায়াতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য প্রাণোৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। সব অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় নিকট অতীতে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি।’

খালেদা জিয়ার সরকার ১৪০০ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে বাংলা শতবর্ষ বরণে বাধা দিয়েছিল উল্লেখ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয়, বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করবো, এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।’

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে, সেখানে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো এই প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে যারা অনুষ্ঠান করবেন তাদেরকেই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী যোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থাও করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মঙ্গল শোভাযাত্রাকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।’

Link copied!