জুলাই ২৮, ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছদ্মবেশে জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশ করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিসতিয়াগা ওচহোয়া ডি চিনচিক্রু সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাইমুল ইসলাম খান সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা প্রাথমিকভাবে লো প্রোফাইল বজায় রেখে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছদ্মবেশে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু পরে তারা বিপজ্জনকভাবে আন্দোলনের সামনের সারিতে চলে আসে।
তিনি বলেন, আমাদের সব উন্নয়নের প্রতীক, যা জনগণকে স্বাচ্ছন্দ্য ও সুবিধা দিয়েছিল সেগুলো ধ্বংসের শিকার হয়েছে।
সেনা মোতায়েনের প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধৈর্য দেখিয়েছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগের প্রায় ২১ জন এই সহিংসতায় নিহত হয়েছেন। আমি নিহতদের সাহায্য করার সময় দলীয় পরিচয় বিবেচনা করিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সহিংসতায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের বেঁচে থাকা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার এবং আহত ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা ও তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এ সময় স্পেনের রাষ্ট্রদূত শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে সেনা মোতায়েন এবং কারফিউ জারির প্রশংসা করে বলেছেন, এখন ধীরে ধীরে সবকিছুর উন্নতি হচ্ছে। শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা তিনি বোঝেন এবং এর প্রশংসা করেন।
তিনি জানিয়েছেন, আমি টেলিভিশনে সবকিছু দেখেছি কিন্তু ভাষার পার্থক্যের কারণে সেগুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারিনি, তবে সংবাদপত্র থেকে আমি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং মারামারি থেকে ধ্বংসের বিষয় জানতে পেরেছি। আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে কয়েকটি ভাঙচুর হওয়া স্থান পরিদর্শন করেছি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেট বরাদ্দ জনগণের কল্যাণে সরকারের আন্তরিকতা নিশ্চিত করে। অনেক দেশে এই ধরনের বাজেট সমর্থন বিদ্যমান নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় অ্যাম্বাসেডর এট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।