বেটা
জানুয়ারি ২১, ২০২৪, ০১:২১ পিএম
ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এ সময় নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে কাজগুলো চলছে সেগুলো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং শেষ করাই আমাদের কাজ। এটা হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ তার মধ্যে সবচেয়ে বড় যে প্রজেক্ট সেটি হলো মাতারবাড়ি। এরকম অসংখ্য প্রকল্প আছে সেগুলোর শেষ করা আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যতগুলো প্রকল্প আছে সবগুলো শেষ করব। প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজার কিলোমিটারের নৌপথের কথা বলেছেন, সেটিও সম্পন্ন করতে চাই।
নির্বাচন ইশতেহার অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নয়নের বিশ্বমান বাড়বে। এবার কর্মসংস্থানের দিকে বিশেষ নজর দিব। তরুণ যুবকরা যেন কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখব। ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। আরও প্রকল্প আমাদের পাইপ লাইনে আছে। সেগুলো আমরা বাস্তবায়ন করব।
নৌমন্ত্রণালয়কে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে অনুপ্রেরণা যে সাহস দরকার সেটা নেয়ার জন্য টুঙ্গিপাড়ায় এসেছেন জানিয়ে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে এসেছি। আমাদের সিনিয়র সচিবসহ প্রত্যেকটা সংস্থার প্রধানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এসেছেন। আমরা এখানে এসেছি আমাদের আদর্শের পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে। আমরা এটুকুই শপথ নিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের যে প্রত্যয় আমাদের যে অঙ্গীকার আমরা যেন সেটা বাস্তবায়ন করতে পারি। সাহস আর অনুপ্রেরণা নেওয়ার জন্যই আজ টুঙ্গিপাড়ায় আসা।
বিএনপি নির্বাচনের অংশ নেয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমি যখন ৭ তারিখে নির্বাচনে জয়যুক্ত হই তখন আপনার আমাকে প্রশ্নটা করেছিলেন , আমি আপনাদের বলেছিলাম আপনারা কী ধরনের নির্বাচন চান উৎসবমুখর নাকি উত্তেজনামূলক নির্বাচন। আপনারা বলেছিলেন উৎসবমুখর। তাহলে সে নির্বাচনটাই এবার হয়েছে উৎসবমুখর নির্বাচন।
বিএনপি নির্বাচনে আসলে তাদের সাথে দেশবিরোধী অপরাধীরা থাকতো-স্বাধীনতা বিরোধী থাকতো-যুদ্ধ অপরাধীরা থাকতো। নির্বাচন হতো উত্তেজনাপূর্ণ। বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। এত সুন্দর সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন এর আগে কখনো হয়নি। যারা আন্তর্জাতিক মহল এবং নির্বাচন নিয়ে ফন্দি এঁটেছে তারাও সন্তুষ্ট। আপনারা দেখেছেন জাতিসংঘ সহ বিভিন্ন দেশ প্রতিনিয়ত, এই নির্বাচন এবং সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয় বিএনপি ভুল রাজনীতি করেছে, দেশবিরোধী রাজনীতি করেছে।
মানিকগঞ্জে ফেরি ডুবির প্রসঙ্গে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। ২০৪১ এটাই লক্ষ্য পুরো দেশটাকে নিরাপদ করা। শুধু নৌপথ নয় সড়ক পথ সহ সব ক্ষেত্রে। নৌপথে দুর্ঘটনা অনেক কমে এসেছে ।বলা চলে শূন্যতে চলে এসেছে। আমরা আরও কাজ করছি। আমাদের নেভিগেশন আমাদের বিভিন্ন ডিজিটাল সিস্টেম এগুলো আমরা যুক্ত করছি ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই পুরো বিষয়টা সম্পূর্ণ নিরাপদে চলে আসবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা বলেছেন প্রত্যেক দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটি হয় সেটি কতটা বাস্তবায়ন হয়, মন্ত্রণালয়ে খোঁজ খবর নেন, বিগত ৫ বছরের যতগুলো নৌ দুর্ঘটনা ঘটেছে আমরা তদন্ত কমিটি করে সবগুলো ঘটনা তদন্ত করেছি এবং পরবর্তীতে তা বাস্তবায়ন করেছি এবং যারা অপরাধী তাদের আইনের আওতায় এনেছি।
আইন কিন্তু মন্ত্রণালয়ের গতিতে চলে না আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। সাপোর্ট পাওয়ার অধিকার সবার আছে যে ঘটনার শিকার হন তারও যে প্রতিপক্ষ তারও সাপোর্ট পাওয়ার অধিকার আছে। তবে এটি ঠিক করবে আদালত, মন্ত্রণালয় না। আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সবসময় যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ায় অংশ নেন। মিলাদ মাহফিলে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বিকেলে প্রতিমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
