ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৩:৫৭ পিএম
পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের যে বিজয় অর্জিত হয়েছে, তা ‘ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়’ বলে দাবি করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মহান বিজয় দিবসে সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর নরেন্দ্র মোদি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ দাবি করেন।
নরেন্দ্র মোদির পোস্টে লেখা হয়, ‘আজ বিজয় দিবসে, আমরা ১৯৭১ সালের ভারতের ঐতিহাসিক বিজয়ে অবদান রাখা সাহসী সৈন্যদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে সম্মান জানাই। তাদের নিঃস্বার্থ উৎসর্গ এবং অটল সংকল্প আমাদের জাতিকে রক্ষা করেছে এবং আমাদের গৌরব এনে দিয়েছে। এই দিনটি তাদের অসাধারণ বীরত্ব এবং অদম্য চেতনাকে সম্মান জানানোর দিন। তাদের আত্মত্যাগ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে চিরকাল এবং আমাদের জাতির ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে এই প্রতিবাদ জানান আসিফ নজরুল। এতে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট যুক্ত করেছেন।
আসিফ নজরুল লিখেছেন, ‘তীব্র প্রতিবাদ করছি। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ছিল বাংলাদেশের বিজয়ের দিন। ভারত ছিল এই বিজয়ের মিত্র, এর বেশি কিছু নয়।’
আরও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু মোদি দাবি করেছে, এটি শুধু ভারতের যুদ্ধ এবং তাদের অর্জন। তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশের অস্তিত্বই উপেক্ষিত।’
হাসনাত লেখেন, ‘যখন এই স্বাধীনতাকে ভারত নিজেদের অর্জন হিসেবে দাবি করে, তখন আমি একে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, এবং অখণ্ডতার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে দেখি। ভারতের এই হুমকির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী। এই লড়াই আমাদের চালিয়ে যেতেই হবে।’