আগস্ট ১১, ২০২৪, ০৩:৪৫ এএম
জীবনে আর কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
শনিবার (১১ আগস্ট) তার ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের সঙ্গে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর সেখানে থাকা কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, “আমি আজ মাওলানা ভাসানীর মাজারে এসেছি উপলক্ষ হিসেবে। লক্ষ্য হলো, ‘৭১’র স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ‘৭৫’এ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে যে যুদ্ধ এখানে শুরু হয়েছিল এবং আজও এই বাংলার গণমানুষের, নিপীড়িত মানুষের, অধিকারবঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে যিনি পরিচিত, সেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, তাকে আমি সমর্থন করি। তার সঙ্গে আমৃত্যু আমি থাকবো। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি আর জীবনে সম্পৃক্ত হবো না। মাওলানা ভাসানীর এই মাজারে দাঁড়িয়ে আমি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইলবাসীর সমর্থনে, বাংলার মানুষের সমর্থনে যেকোনও ত্যাগ স্বীকারে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
এ সময় তিনি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তৃতা শেষ করে বলেন, ‘মাওলানা ভাসানী আমাদের চিত্তকে শুদ্ধ করুন।
বর্ষীয়ান রাজনীতিক আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। সবশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই বছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সভায় বক্তৃতাকালে হজ তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করেন। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার, মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। সংসদ সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করেন তিনি। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন তিনি।
লতিফ সিদ্দিকীর বক্তৃতার পর তার ভাই কাদের সিদ্দিকী কর্মীদের উদ্দেশে বক্তৃতায় বলেন, “আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তিনি আর রাজনীতি করবেন না। আমি তোমাদের বলছি, আমার শেষ শ্বাস যেন রাজনীতি করতে করতেই বের হয়ে যায়।”
এ সময় তাদের ছোট ভাই কালিহাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকীসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।