জুলাই ২৯, ২০২৪, ০৭:৩৪ পিএম
যারা সন্ত্রাস ও সহিংসতায় সরাসরি জড়িত ছিল শুধু তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোনও সাধারণ শিক্ষার্থীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার বা নির্যাতন করছে না কবলেও দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (২৯ জুলাই) আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “সাইবার সন্ত্রাসীরা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য ও ভুয়া ছবি পাঠিয়ে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা মেট্রোরেল, বিটিভিসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সুপরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, যারা ইতিহাসের ন্যক্কারজনক ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। জনগণের শান্তি, শৃঙ্খলা ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ কঠোরতা প্রদর্শন করবে।”
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় প্রতিটি হত্যার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের কথা জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “তদন্তসাপেক্ষে হত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার বদ্ধপরিকর।”
আন্দোলনে নিহতদের তালিকা প্রকাশ হয়নি বলে বিএনপির মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ত্রাস-সহিংসতা ও নাশকতায় নিহতদের সংখ্যা গণমাধ্যমের নিকট প্রকাশ করেছেন।”
তদন্তপ্রক্রিয়া শেষের আগেই মির্জা ফখরুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করে বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল ও বিএনপি-জামায়াত যেকোনও প্রকারে ক্ষমতা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এসব সন্ত্রাসী ঘটনার মদদদাতা, অর্থের জোগানদাতাদের চিহ্নিত করেছে ও তাদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলমান।”
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী অপশক্তি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে ও দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের জীবনের বিনিময়ে দেশের অর্জিত গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করেছেন ও সরকার তাদের সব দাবি পূরণ করেছে। অথচ মির্জা ফখরুল এখন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছেন। সরকারের পদত্যাগের দাবি শুধু সরকারবিরোধী বা দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতের। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তন শুধু জনরায়ের মাধ্যমেই সম্ভব। শেখ হাসিনার সরকার জনগণের রায় নিয়ে সাংবিধানিক পন্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। সব উসকানি ও নৈরাজ্যের মুখেও সরকার সর্বোচ্চ ধৈর্য ও সংযম ধারণ করেছে এবং জনগণকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-সহিংসতা থেকে সুরক্ষার নিরন্তন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”