জানুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
সরকারি ক্রয়সহ কোনো খাতে যেকোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘সরকারি ক্রয়সহ সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে আমি কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করব না।’
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত নতুন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ বার্তা দেন। পাশাপাশি তিনি নির্বাচনি অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের রাজস্ব ব্যয়, সরকারি ক্রয় ও স্বচ্ছতার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। আমি এখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করবো না।
তিনি বলেন, দুর্নীতি কোনো দেশের জন্যই ভালো নয়। আমাদের যে সম্পদ আছে তা আমরা যথাযথভাবে ব্যবহার করব। আমরা আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে এগিয়ে যাব।
সরকার প্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত, কিন্তু জনসংখ্যা বিশাল। আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সঠিক মানুষ যেন বার্ধক্য ও সামাজিক নিরাপত্তা ভাতা পায় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি হলেও পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। মন্তব্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। বাকি সবই ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে আমাদের তা আরও কমাতে হবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ হলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ প্রবৃদ্ধির সুফল পাবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়লে কৃষকরা খুশি হয়। কিন্তু ভোক্তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদের ওপর চাপ রয়েছে। এটি ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে, কীভাবে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় সে সম্পর্কে আমাদের খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
জনগণের অর্থের অপচয় রোধ, এমনকি যেকোনো ধরনের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ এবং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
শেখ হাসিনা মূল্য নির্ধারণকারীদের কঠোর নজরদারিতে রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আসন্ন রমজানের কথা উল্লেখ করে বলেন, সীমিত সংখ্যক গোষ্ঠী খাদ্যপণ্য আমদানি করে। তারাও সবসময় এখানে একটা ম্যাচ খেলতে চায়। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যেসব পণ্যের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেগুলো সহনীয় মূল্যে রাখতে হবে। সেগুলো নিয়মিত বাজারে যাতে পাওয়া যায়, তাই সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে এবং নতুন বাজার খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি।