বেসরকারি শিক্ষকরা যমুনা অভিমুখে, পিটিয়ে সরাল পুলিশ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম

বেসরকারি শিক্ষকরা যমুনা অভিমুখে, পিটিয়ে সরাল পুলিশ

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিল পিটিয়ে এবং জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

আন্দোলনকারীরা সোমবার বিকাল ৪টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।

তারা হাই কোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয়। শিক্ষকরা সেখানে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।

সেই সঙ্গে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে এবং জলকামানের পানি ছিটিয়ে শিক্ষকদের ছাত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। পরে আন্দোলনকারীরা পিছিয়ে গিয়ে আবার প্রেস ক্লাবের দিকে চলে যান।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, “রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান নেওয়ায় তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের নেতা আব্দুর রহিম বলেন, “আমরা যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা নিয়ে যাওয়ার পথে হাই কোর্টের সামনে পুলিশ আমাদের বাধা দেয়। এসময় তারা লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। আমাদের ১০-১২ জন আহত হয়েছেন। শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছেন।

“জাতীয়করণ বঞ্চিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছিল। আমরা জাতীয়করণের তালিকা থেকে বাদপড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ চাই।” খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। 

শাহবাগ থানার ওসি খালিদ মনসুর বলেন, “দাবি-দাওয়ার ভিত্তিতে তাদের ৭ জনের একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে গিয়ে দেখা করে আসে। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।”

প্রেস ক্লাবের সামনে এখন আর কোনো অন্দোলনকারী শিক্ষক নেই বলে জানান তিনি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কনসালটেশন কমিটির সুপারিশে ৫ হাজার বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের দাবিতে সোমবার সকাল থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে প্রায় হাজারখানেক শিক্ষক এ আন্দোলনে যোগ দেন।

তারা বলছেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি তখনকার আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিল। সে সময় ২৬ হাজার ১৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি হলেও কিছু বিদ্যালয় বাদ পড়ে যায়।

গতবছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেসব স্কুল জাতীয়করণের দাবিতে কয়েক দফা আন্দোলন করেছেন বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়।

এরপর মন্ত্রণালয়ের কনসাল্টেশন কমিটি বাদ পড়া বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের সুপারিশ করলেও তার কোনো অগ্রগতি নেই বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।

Link copied!