জুলাই ১৬, ২০২৪, ০৬:৪১ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যঙ্গ করেছে এমন দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে তারা এই প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত ২১ নেতা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তি সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনবদ্য। স্বাধীন বাংলাদেশেও যে কোন জাতীয় প্রয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই জাতির কন্ঠস্বর হিসেবে গণ্য হয়।
তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, দীর্ঘ তেইশ বছরের মুক্তি সংগ্রাম শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বুকে “তুমি কে, আমি কে; রাজাকার রাজকার” এর মত ঘৃণ্য স্লোগান দিয়ে ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের প্রতি চরম অবমাননা দেখানো হয়েছে যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সাবেক শিক্ষার্থীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ এ ধরনের ধৃষ্টান্তপূর্ণ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক উচ্চারণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এসব আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের এই স্বাধীন দেশে কোন ধরনের অধিকার থাকতে পারে না।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা হলেন- সাবেক সভাপতি সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী খলিলুর রহমান মোহন, নুরুল ইসলাম সুজন (যুগ্ম-আহ্বায়ক), গোলাম মোস্তফা সুজন, বাহাদুর বেপারী, সাজ্জাদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, শেখ সোহেল রানা টিপু, মেহেদি হাসান মোল্লা, আবিদ আল হাসান, সনজিত চন্দ্র দাস। সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ডিউক, অসীম কুমার উকিল (যুগ্ম-আহ্বায়ক), মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, কামরুজ্জামান আনসারী, পংকজ দেবনাথ, একেএম আজিম, হেমায়েত উদ্দিন খান হিমু, সাজ্জাদ সাকীব বাদশা, ওমর শরীফ এবং মোতাহার হোসেন প্রিন্স।