সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য ভোট করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
রোববার, ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংলাপের প্রথম দিনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষকদের সঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন সুন্দরভাবে করার জন্য আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটার তালিকা থেকে ২০ লাখের বেশি মৃত ভোটার কর্তন, পুরুষের তুলনায় নারী ভোটার আগে অনেক ছিল তা কমিয়ে আনা হয়েছে।’
নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা ৯টি আইন সংশোধন করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়ার অনেক কিছু এগিয়ে নিয়েছি। সংস্কার কমিশনের আলোচনায় অনেক কিছু হয়েছে। আমাদের কোনো গ্যাপ থাকলে আপনারা তা পূরণ করে দেবেন।’
প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা একটি মাইলফলক কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে রিটার্নিং অফিসাররাও ভোট দিতে পারতেন না। এ ছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনি হেফাজতে থাকা সবাইকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা করা হবে ইনশা আল্লাহ।’
সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদসহ ইসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবী প্রতিনিধি হিসেবে ১২ জন সংলাপে রয়েছেন। তাঁরা হলেন—সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মাহমুদ হাসানউজ্জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াজেদ, বিজিএমইএ পরিচালক রশিদ আহমেদ হোসাইনি, কবি মোহন রায়হান, পুলিশ রিফর্ম কমিশনের মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জারিফ রহমান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও টিআইবি পরিচালক মোহাম্মদ বদিউজ্জামান।
ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক জানান, দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৩৩ জন শিক্ষাবিদের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি।
জানা যায়, ইসি অক্টোবরের মাঝামাঝি পূজার ছুটির শেষে রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারীনেত্রী, জুলাই যোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সকলের সঙ্গে সংলাপে বসবে সংস্থাটি।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৬টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরবর্তীতে শর্ত পূরণ, শর্ত প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। দলগুলো হলো—বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সম্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে। এদিকে আদালতের আদেশে নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
রোজার আগে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল হতে পারে।