ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ০৯:৩২ এএম
ছবি: দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের প্রতি আর উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই। কোনো অবস্থাতেই বাস্তুচ্যুতদের ঢুকতে দেয়া হবে না।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার ইস্যুতে আর কোনো উদারতা দেখানো সম্ভব নয় এবং সেখান থেকে নতুন কেউ বাংলাদেশে এলে তাকে গ্রহণ করা হবে না।’
‘মিয়ানমার ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, সেটিই আমাদের সরকার ও দলের বক্তব্য। ঘটনাস্থলের আশপাশে কয়েকটি গ্রাম নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে কথা বলবে। যতই উস্কানি আসুক, আমরা প্রতিক্রিয়া দেবো না।
এ সময় কাদের বলেন, ওই দেশের অভ্যন্তরীণ থেকে ছোড়া মর্টারের শেল পড়ছে আমাদের সীমান্তে। এরইমধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা আকাশসীমাও লঙ্ঘন করছে; তাদের নিজেদের সমস্যার কারণে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হব কেন? এতে জাতিসংঘ এবং চীনের উদ্যোগ নেয়া উচিত।
সেতুমন্ত্রী বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, যেহেতু মিয়ানমার চীনের কথা শোনে, তাই তাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশ সহযোগিতার আহবান জানিয়েছে চীনকে। এখানে কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট তাদের নিজস্ব, তবে তা পাশের দেশের জন্য যাতে আতংকের না হয় এটা তাদেরকেই দেখতে হবে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লম্বা চিঠি পাঠিয়েছেন, একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। বিএনপির বিদেশি বন্ধুরা তাদের ছেড়ে চলে গেছে, দেশের জনগণও তাদের সাথে নেই।
বাইডেনের চিঠি দেখে এখন কী বলবে বিএনপি; প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
তিনি বলেন, বিএনপি এখন কী করবে? তাদের এখন কি বলার আছে? ক্ষমতায় বসানোর জন্য কে আসবে? ক্ষমতা থেকে হটানো বা ক্ষমতায় আসার সহায়তা কে করবে? দেশে যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করেছে, নির্বাচন থেকে সরে গিয়ে নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তাদের চেষ্টায় কোনো সুফল আসেনি। বিশেষ করে ভিসা নীতি বা নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকেনি।
তিনি আরও বলেন, তাদের নেতারা তো অনেকেই পালিয়ে আছেন, অনেকে প্রকাশ্যে আসেন না। এবার নির্বাচনে ২৮ টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। সংসদ বসেছে। অধিবেশনের শুরুতেই স্ট্যান্ডিং কমিটি পর্যন্ত হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি নিজ হাতে লিখেছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণকাণ্ড
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণকাণ্ডে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আইনের আওতায় আসার মত যে অপরাধ তা আইনের আওতায় এনেই করা উচিত। এই পর্যন্ত অনেক দৃষ্টান্ত আছে, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর যারা খারাপ কাজ করেছে, যারা অপরাধ করেছে তারা কেউই পার পায়নি। এই দলের ভিতরে শতভাগ ভাল মানুষ আছে এই দাবি আমরা করতে পারি না। এর মধ্যে খারাপ কাজও কিছু লোক করে। খারাপের কাজের জন্য আমাদের একটা বৈশিষ্ট্য হলো, আমরা খারাপ কাজটা প্রশ্রয় দেই না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন, উপ দপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।