নিজের বিশ্বাস নির্ভয়ে প্রকাশ করতেন নাট্যকার জর্জ বার্নাড শ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২৩, ১২:০০ পিএম

নিজের বিশ্বাস নির্ভয়ে প্রকাশ করতেন নাট্যকার জর্জ বার্নাড শ

ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম সেরা নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ। সমসাময়িক ব্যঙ্গ রচনা থেকে শুরু করে ঐতিহাসিক রূপক কাহিনিতেও তিনি খ্যাতিমান। ২০১৬ সালে বব ডিলান সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আগপর্যন্ত শ–ই একমাত্র ব্যক্তি ছিলেন, যিনি একাধারে নোবেল ও অস্কার পেয়েছেন।

জর্জ বার্নার্ড শ জন্মেছিলেন ২৬ জুলাই ১৮৫৬ সালে। ডাবলিনের এক শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারে। ডাবলিনের একটি গ্রামার স্কুলে তাঁর পড়াশোনা শুরু হয়। ১৮৬৫-৭১ সালের মধ্যে শ চারটি স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং প্রত্যেকটি তাঁকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি বিরূপ করে তোলে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অপছন্দ করলেও ছোটবেলা থেকে তাঁর বই পড়ার নেশা ছিল প্রচণ্ড।

১৮৭৬ সালে লেখালেখি শুরু করেন। ১৮৭৮ থেকে ১৮৮৩ সাল পর্যন্ত শ পাঁচটি উপন্যাস লেখেন। দিনের পর দিন তিনি এই উপন্যাসগুলোর পাণ্ডুলিপি নিয়ে প্রকাশকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে থাকেন। কিন্তু লন্ডনের কোনো প্রকাশনা সংস্থা তাঁর লেখা ছাপতে রাজি হয় না।

১৮৯৬ সালে তাঁর রচিত ‘ইউ নেভার ক্যান টেল’ নাটকটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর থেকে তিনি নাট্যকার রূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন এবং নাটককে নিজের ভাব প্রকাশের মাধ্যমরূপে বেছে নেন।
জর্জ বার্নার্ড শর প্রকাশিত নাটকের সংখ্যা ৬২। এই নাটকগুলো তাঁকে বিশ্বের অন্যতম প্রতিভাবান নাট্যকারের খ্যাতি এনে দেয়। তাঁর নাটকগুলো বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। 

তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো- সিজার অ্যান্ড ক্লিওপেট্রা, মেজর বারবারা, হার্টব্রেক হাউস, ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান, জন বুলস আদার আইল্যান্ড, দ্য ডক্টরস ডায়লামা, গেটিং ম্যারিড, ফানিস ফাস্ট প্লে, পিগম্যালিওন, জেনেভা এবং সেন্ট জোয়ান।

‘সেন্ট জোয়ান’ নাটকের জন্য তিনি ১৯২৫ সালে নোবেল সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।

শ যা বিশ্বাস করতেন, নাটকের মাধ্যমে তা নির্ভয়ে প্রকাশ করতেন। শ তাঁর রচনায় প্রচলিত ধ্যানধারণার বিরোধিতা করেছেন, সমাজের শোষকশ্রেণির ওপর ব্যঙ্গবিদ্রুপের মাধ্যমে কশাঘাত চালিয়েছেন। 


জীবনের শেষ ৪৬ বছর তিনি ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারের একটি গ্রামে বাস করতেন। জর্জ বার্নার্ড শ যে ছিলেন নিরামিষভোজী মানুষ ছিলেন তা হয়তো অনেকেই জানেন না। কিন্তু সত্যিকার অর্থেই আমিষের প্রতি তাঁর কোনো টান ছিল না। 

তিনি বেঁচেও ছিলেন দীর্ঘদিন, বয়সের হিসেবে ৯৪ বছর। ১৯৫০ সালের ২ নভেম্বর এই গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

Link copied!