জীবাশ্ম জ্বালানী উত্তোলনে চরম সতর্কবার্তা বিজ্ঞানীদের

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১, ১১:০৩ এএম

জীবাশ্ম জ্বালানী উত্তোলনে চরম সতর্কবার্তা বিজ্ঞানীদের

ভূ-গর্ভ থেকে তেল-গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানী উত্তোলন করা ঠিক হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের একদল গবেষক নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে জানাচ্ছেন, ‘বৈশ্বিক ঊষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে’র নিচে রাখতে চাইলে তেল-গ্যাসের যে রিজার্ভ এখন মাটির নিচে রয়েছে তার ৬০ শতাংশ এবং কয়লার ৯০ শতাংশ আর উত্তোলন করা যাবে না কোনভাবেই।

‘বৈশ্বিক ঊষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে’র অর্থ হলো, আগামী ২০৩০ থেকে ২০৫২ সালের মধ্যে যদি পৃথিবীর তাপমাত্রা শিল্প বিপ্লবের সময়ের তাপমাত্রার চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পায় তাহলে মানুষসহ পরিবেশের সব উপাদানের অস্তিত্ব ভয়াবহভাবে বিপদের মুখে পড়বে।

এই গবেষণায় বিশ্বে কি পরিমাণ জ্বালানী প্রয়োজন এবং কি পরিমাণ জ্বালানী মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করা উচিৎ সেদিকে আলোকপাত করে গবেষকরা বলছেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যাপারটা বেশ বিপজ্জনক। কিন্তু বাস্তবতা এবং আমাদের মানবজাতির জন্য যেটা কল্যাণকর সেটা আমাদের বলতেই হবে’।

তারা আরো জানাচ্ছেন, এযাবৎ ২০২০ সালেই সবচেয়ে বেশি জীবাশ্ম জ্বালানী উত্তোলন করা হয়েছে। তবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে এই চলতি বছর থেকেই ২০৫০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ৩ শতাংশ করে জীবাশ্ম জ্বালানী উত্তোলনের হার কামাতে হবে।

লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের এনার্জি সিস্টেমের প্রফেসর ড. স্টিভ পাই জানান, ‘কোভিডের সময় জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার এবং উত্তোলন দুটোই কমেছিল। কিন্তু তা আবার আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। ফলে, এই হ্রাসের খুব একটা ইতিবাচক প্রভাব পরিবেশের ওপর পড়েনি’।

লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজের আরেক অধ্যাপক ড. জেমস প্রাইস বলেন, ‘আগামী ২১০০ সালের আগেই কার্বন কমানোর এই হার অব্যাহত রাখতে হবে নইলে  চড়া মূল্য পরিশোদ করতে হবে’।

Link copied!