ফ্রান্সের সম্মানজনক কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের বাজার মার্শে দ্যু ফিল্মের তথ্যচিত্র বিভাগের ‘ডকস ইন প্রগ্রেস'-এ পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের তথ্যচিত্র ‘মুন্নি'৷ এই বিভাগটির ‘থিঙ্ক-ফিল্ম ইমপ্যাক্ট অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছে তথ্যচিত্রটি৷
গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) স্থানীয় সময় সাড়ে পাঁচটায় ‘কানডকস’-এর ডকস ইন প্রগ্রেস (যেসব ছবির কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি) বিভাগের পুরস্কার ঘোষণা শুরু হয়৷ পালে দ্য ফেস্টিভালের মার্শে দ্যু সেকশনে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানটি৷ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম জুম-এর মাধ্যমে যোগ দেন উৎসবে উপস্থিত হতে না পারা নির্মাতা ও প্রযোজকরা৷
পুরস্কার ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চলচ্চিত্রের পরিচালক তাহরিমা খান বলেন, ‘এখনো ছবিটির সম্পাদনা চলছে৷ সম্পাদনা শেষ হলে তা সবার জন্য প্রদর্শনী করা হবে৷ তখন দেখা যাবে ‘রিয়াল ইমপ্যাক্ট’৷’
তাহরিমা খান আরও বলেন, ‘এটা একটা বড় অর্জন৷ আমি অনেক অনুপ্রাণিত৷’
এ বছর কানে ৩২টি ডকুমেন্টারি প্রজেক্ট জমা পড়েছে কানডকসে৷ সেখান থেকে ৬টি পুরস্কারটি জিতেছে৷ এই তথ্যচিত্রের গল্পটি টাঙ্গাইলে একদল কিশোরী ফুটবল খেলোযাড় ও তাদের প্রশিক্ষক কামরুন্নাহার মুন্নিকে নিয়ে৷
‘‘আমরা যেভাবে একটি নারী ফুটবল দলকে দেখি, তার বাইরে গিয়ে ছবিটিতে আরো গভীর কিছু দেখানোর চেষ্টা করেছি৷ চেষ্টা করেছি, তাদের ভেতরের কথাগুলো, সংগ্রামের কথাগুলো তুলে ধরার জন্য৷ তাদের স্বপ্নগুলোকে ছুঁয়ে দেখার জন্য,’’ বলেন তাহরিমা৷
প্রশিক্ষক মুন্নি এই কিশোরীদের বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে মুক্তির পথ তৈরিতে সহযোগিতা করছেন৷ সেই গল্পই উঠে আসবে তথ্যচিত্রটিতে৷ ‘‘এই কিশোরীরা যেন শুধু খেলার মাঠেই নয়, জীবনের সংগ্রামে জিততে পারে, সেই গল্পই দেখানো হবে এই চলচ্চিত্রে,’’ যোগ করেন তাহরিমা৷ আগামী জানুয়ারির দিকে সম্পাদনার কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি৷
এই পুরস্কারের অধীনে তাহরিমা কৌশলগত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পাবেন৷ এ বিষয়ে ছবির প্রযোজক আবু শাহেদ ইমন বলেন, ‘ডকুমেন্টারি শুধু বানানোই নয়, সমাজে তা কতটা ইমপ্যাক্ট বা প্রভাব তৈরি করার ক্ষমতা রাখে, আজকাল তা-ও বিবেচনা করা হয়৷ সে বিবেচনায় নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক বৈষম্য রোধে মুন্নি তথ্যচিত্র গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস৷ সে জায়গা থেকেই হয়ত এই চলচ্চিত্রটিকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে৷’