পর্নোগ্রাফি ফিল্ম তৈরির অভিযোগে বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠির স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১৯ জুলিই) রাতের দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। খবর হিন্দুস্তান টাইমস’র।
মুম্বাই পুলিশের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে ভারতের হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ‘পর্নোগ্রাফি সিনেমা তৈরি এবং বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে তা প্রকাশ করা নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে একটি মামলা দায়ের করেছিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্তের পর আমরা রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেপ্তার করেছি। যিনি এই মামলায় মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে মনে করা হচ্ছে। সেই মামলায় আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য আছে।’
মুম্বাই পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার কুন্দ্রাকে ডেকে পাঠায় মুম্বই পুলিশের প্রপার্টি সেল। রাত আটটা নাগাদ তিনি হাজিরা দেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একই মামলায় এর আগে উমেশ কামাত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তি তখন পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন, তিনি কুন্দ্রার সংস্থায় কাজ করতেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানায়, মুম্বাইয়ের ভাসিতে থাকেন কামাত। গত ৬ ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হওয়া এক মডেল এবং অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কামাতের নাম উঠে আসে। ব্রিটেনের একটি সংস্থায় সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করতেন কামাত।যিনি ওই মডেলের থেকে অশ্লীল ভিডিও নিতেন। সেগুলি পাঠিয়ে দিতেন ওই ব্রিটেনের সংস্থার কাছে। তারপর সেই ভিডিওগুলি ‘হটশটস’ নামে একটি অ্যাপে আপলোড করা হত।
মুম্বাই পুলিশ জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি পর্ণ ছবি তৈরির সেই চক্রের কীর্তি ফাঁস হয়ে যায়। মালাডের (ওয়েস্ট) মাধ এলাকার একটি বাংলোয় অভিযান চালায় মুম্বাই পুলিশের প্রপার্টি সেলের এক কর্মকর্তা। ওইসময় ওয়েব সিরিজ এবং শর্ট ফিল্মে কাজ দেওয়ার নামে তরুণ-তরুণীদের ফাঁসানোর অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়ারা ওই তরুণ-তরুণীদের পর্নো ছবিতে অভিনয় করতে বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মুম্বাই পুলিশ সূত্র জানায়, সেই ভিডিওগুলো বিভিন্ন পর্নেোসাইট এবং মোবাইল অ্যাপে আপলোড করা হত। গ্রেপ্তার পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই মডেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েয়। মুম্বাই পুলিশ ওই বাংলো থেকে ৫লাখ ৬৮ হাজার রুপি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, বলিউডের অভিনেত্রী শিল্পা শেঠি ২০০৯ সালে বিয়ে করেন শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রাকে। বিলাসবহুল জীবনযাপন তাঁদের। এ দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। ২০১৩ সালে মৃত গ্যাংস্টার ইকবাল মির্চির সঙ্গে অর্থ পাচার কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে।