কমিকস থেকে চলচ্চিত্র এখন সুপারহিরোদের জয়জয়কার। বাস্তব জীবনে এক মুহূর্তের জন্যও কখনো সুপারহিরো হতে ইচ্ছা হয়নি, এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। কিন্তু একটি বিষয় খেয়াল করলে দেখা যায় যে, যত জনপ্রিয় সুপারহিরো রয়েছে তাদের অধিকাংশেরই মা ও বাবা নেই।
ব্যাটম্যান,সুপারম্যান,ফ্ল্যাশ,আয়রনম্যান কিংবা স্পাইডারম্যানসহ সকলেরই ছোট বেলায় কোন এক ট্রাজেডির কারনে হারায় মা ও বাবাকে।
ঠিক কি কারনে সুপারহিরোদের এমন ট্রাজেডির মধ্যে পরে। সাইকোলজি টুডে সুপারহিরোদের ট্রাজিক অরিজিন নিয়ে একটি বিশ্লেষণ দিয়েছে। বেশ কয়েকটি কারনেই সুপারহিরোদের এমন করুন ইতিহাস থাকে বলে জানায় তারা।
ট্রাজিক মোটিভেশন
গোথাম শহরের এক গলিতে নিজ মা,বাবাকে হারিয়ে ব্রুস ওয়েইন হয়ে ওঠে ব্যাটম্যান। তেমনি নিজ গ্রহ ধ্বংসের কারনেই সকলকে বাঁচাতে মরিয়া সুপারম্যান। সব মিলিয়ে বলা যাচ্ছে যে ছোটবেলার এমন করুন পরিণতির কারনেই সুপারহিরো হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা পায় তারা।
পিছু টান না রাখা
অনেক সময়েই দেখা যায় যে প্রিয়জনকে জিম্মি করে সুপারভিলেনরা তাদের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করে। এজন্য সুপারহিরোদের প্রিয়জন কম রাখে কমিকস রাইটাররা। আর নিজ পরিবারের জন্য সুপারহিরোরা কতটা করতে পারে এমন নমুনা আমরা দেখেছি ফ্ল্যাশ পয়েন্ট প্যারাডক্সে।
বিপথে না যাওয়া
সুপারহিরোদের অলৌকিক শক্তি ও ক্ষমতার কারনে অনেক সময়ই তারা বিপথে চলে যাওয়ার প্রবণতায় থাকে। তাদের শক্তি নিয়ন্ত্রণ ও অনুপ্রেরণার জন্য হারানো মা বাবার স্মৃতিই সবচেয়ে বেশি কাজ করে। এছাড়া অনেক কঠিন পরিস্থিতিতেও সুপারহিরোদের এই স্মৃতিই তাদের সঠিক পথে যেতে সাহায্য করে।
তবে সুপারহিরো পুরো দুনিয়া বা ইউনিভার্স রক্ষা করলেও মা বাবা যে সুপারহিরোদের কাছেই সুপারহিরো। তাই হয়ত কমিকস রাইটাররা মা বাবা ছাড়াই সুপারহিরোদের কাহিনী গঠন করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।