‘স্তনের দিকে বেশি নজর, চোখ দিয়েই নগ্ন করেন’মডেলকে!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ৮, ২০২৩, ০৫:২৩ পিএম

‘স্তনের দিকে বেশি নজর, চোখ দিয়েই নগ্ন করেন’মডেলকে!

ব্রিটেনের যুবরাজ হ্যারিকে নিয়ে চর্চার শেষ নেই। মডেল-অভিনেত্রী স্ত্রী রেচল মেগান মার্কলকে নিয়ে রাজবাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর থেকেই হ্যারিকে নিয়ে চর্চা যেনো থামছেই না। সুখ্যাতি হোক বা কুখ্যাতি, হ্যারি মানেই শিরোনাম।

সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের একটি তথ্যচিত্রে স্ত্রী মেগানের সঙ্গে দেখা গিয়েছে সাসেক্সের ডিউক হ্যারিকে। সেখানে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের বহু তথ্য প্রকাশ্যে আনেন হ্যারি। আবার সম্প্রতি ‘স্পেয়ার’নামে আত্মজীবনী লেখার কাজও শুরু করেছেন তিনি। কিন্তু তা প্রকাশের আগেই লেখনীর কিছু কিছু অংশ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়ে গিয়েছে। তথ্যচিত্র এবং বইয়ের ফাঁস হওয়া বিভিন্ন অংশ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে যুবরাজ হ্যারির মতো এক যুবকের নগ্ন ছবি। সংবাদমাধ্যমে তখন তোলপাড় প্রতিবেদন- হ্যারি নাকি স্ট্রিপ বিলিয়ার্ড খেলছিলেন  ওই রাতে। অর্থাৎ বিলিয়ার্ড খেলার ছলে নগ্ন হয়ে উল্লাসে মেতেছিলেন তিনি। ব্রিটেনের রাজবাড়ির তরফে অবশ্য সরকারি ভাবে এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করা হয়নি কখনও।

লাস ভেগাসের ঘটনা প্রথম নয়। এক সময় হ্যারির সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা কার্যত সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এমিই এক বিস্ফোরক তথ্য দিলেন সাবেক খ্যাতনামী মডেল ক্যাসি সামনা। পর্তুগিজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সতীর্থ হোসে ফন্টের বর্তমান এই স্ত্রী দাবি করেন, ২০০৪ সালে একাধিক বার তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন হ্যারি।

মডেল দাবি করেন, ১৯ বছর বয়সি হ্যারির সঙ্গে যখন তাঁর প্রথম আলাপ, তখন হ্যারি ‘চোখ দিয়েই’নগ্ন করে দিচ্ছিলেন তাঁকে। যুবরাজের সবচেয়ে বেশি নজর ছিল তাঁর (মডেলের) স্তনে। কথা বলার সময় মুখের থেকে তাঁর স্তনের দিকে বেশি ক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন হ্যারি, এমনই দাবি করেন ক্যাসি। এই বিতর্কেও মুখে কুলুপ আঁটে ব্রিটেনের রাজপরিবার।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে হ্যারি ডেটিং শুরু করেন। একবছর পরই  মেগানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন হ্যারি। মেগানের সঙ্গে হ্যারির সম্পর্ক নিয়ে শুরু থেকেই প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। গুঞ্জন ওঠে রাজপরিবারের অনেকেই মেগানকে মেনে নিতে পারেননি। যাবতীয় বিতর্কে মেগানের পাশেই দাঁড়াতে দেখা যায় হ্যারিকে। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে মে মাসে জুটি বাঁধেন দু’জন।

মেগানকে বিয়ের ব্যাপারে যে পরিবারের অন্য সদস্যদের আপত্তি ছিল, সে কথা উঠে এসেছে হ্যারির আত্মজীবনীর ফাঁস হয়ে যাওয়া অংশেও। সেখানে লেখা দাদা উইলিয়াম নাকি হ্যারিকে নিষেধ করেন মেগানকে বিয়ে করতে। এমনকি মেগানের সম্পর্কে কটূক্তিও করেন। দুই ভাইয়ের ঝামেলা এমনই চরমে ওঠে যে উইলিয়াম হ্যারির জামার কলার ধরে তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলেও দেন দাদা উইলিয়াম।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে হ্যারি এবং মেগানের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসে। এমনকি বসবাসের দিক থেকেও দম্পতি ইংল্যান্ড এবং আমেরিকাতে ভাগাভাগি করে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

পরের বছরই ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাকিংহাম প্যালেস থেকে সরকারি ভাবে জানানো হয়, হ্যারি ও মেগান রাজপরিবারের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। এর আগেই অবশ্য দম্পতি নিজেদের বাড়ি কিনেছেন ক্যালিফোর্নিয়ায়। হ্যারির মা ডায়ানার মৃত্যু নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটাই ছিল রাজপরিবারের দস্তুর। সেই প্রথা ভেঙে মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেন হ্যারি।

তবে পরিবারের থেকে দূরে গেলেও বিতর্ক যে তাঁদের পিছু ছাড়ছে না, হ্যারির ফাঁস হওয়া আত্মজীবনীকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া উত্তেজনা তারই ইঙ্গিত। তবে শুধু মেগানকে কেন্দ্র করে নয়, আরও অনেক বিষয় নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।

Link copied!