টিভি নাটকে জনপ্রিয়তার কাতারে শুরুর দিকে থাকা অপূর্বর বিরুদ্ধেই উঠেছে অর্থ আত্মসাৎ, চুক্তিভঙ্গ ও শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ। বিষয়টা শুনতে কিছুটা অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তবিক এমনই অভিযোগ উঠেছে অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্বর বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই স্টুডিওজ।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব) ও অভিনয় শিল্পী সংঘের দপ্তরে। গত ১১ মার্চ এই অভিযোগ জানানো হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী অর্ধ কোটি টাকার বিনিময়ে ২৪টি নাটকে অভিনয় করবেন, এই মর্মে আলফা আই স্টুডিওসের সঙ্গে ২০২২ সালের অক্টোবরে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন অপূর্ব। কিন্তু ৯ নাটকে কাজ করে অভিনেতা অপূর্ব দুই দফায় ৩৩ লাখ টাকা নিয়ে আর কাজ করেননি বলে অভিযোগ আলফা আই স্টুডিওজের। এমনকি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে নাকি যোগাযোগও বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগপত্রে লেখা রয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই সবগুলো নাটকের কাজ শেষ করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অপূর্ব নাকি তা করেননি, অভিযোগে এমনটাই বলা হয়েছে। এরপর চলতি বছরের ১৯-২৩ ফেব্রুয়ারি শুটিং করবেন বলে নাকি কথাও দিয়েছিলেন অপূর্ব। সেই মোতাবেক সব প্রস্তুতি নেয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তিনি নির্ধারিত সময়ে না আসায় আলফা আই বিপাকে পড়ে বলে দাবি করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি।
পুরো বিষয় নিয়ে গত ৩ মার্চ অপূর্বর বিরুদ্ধে একটি আইনি নোটিশ পাঠায় প্রতিষ্ঠানটি। সাতদিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হলেও সাড়া দেননি অভিনেতা। তাই আদালত পর্যন্ত যাওয়ার আগে সাংগঠনিকভাবে বিষয়টির সুরাহা করতে টেলিপ্যাব ও অভিনয়শিল্পী সংঘের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে দাবি প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলের।
অপূর্ব বলেন, ‘বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় চলে গেছে ও আমার সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ বিষয়টি দেখছে। পাশাপাশি টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপাব)ও বিষয়টি নিয়ে অবগত। তারা যা বলার বলবেন। একই সঙ্গে আমার আইনজীবী কথা বলবেন।’
ছোট পর্দায়, বড় পর্দায় নির্বিশেষে কাজ করা অনেক তারকারাই অভিনেতা অপূর্বের পক্ষ নিচ্ছেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে স্থিতিশীল থাকার পরামরর্শও দিচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর বিপরীতে অপূর্বকে কোনো পোস্ট করতে দেখা যায়নি তার সাড়ে ৭ মিলিয়ন ফলোয়ার সমৃদ্ধ ভেরিফাইড ফেসবুক হ্যান্ডেলে।
তবে চলমান বিতর্কের মধ্যে ‘অসহায় মানুষ এবং মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে সেহরী ( ২০২২)’ শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।