ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। উত্তরার নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান জানান, হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা নিশ্চিত নয়। তবে শোবিজের অনেক তারকার পোস্টই আত্মহত্যার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। তার মরদেহ উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেলে রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম। তিনি বলেন, ‘আজ বিকেল আনুমানিক ৩টার দিকে হিমুকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এসময় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। তারা জানায়, হাসপাতালে আনার আগেই ওর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে হিমুর মোবাইল ফোনসহ নিখোঁজ রয়েছেন তার প্রেমিক মিহির।
এ বিষয়ে উত্তরা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোর্শেদ আলম জানান, ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু মারা গেছেন বলে শুনেছি৷ খবরটি জানার পরে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। কীভাবে তিনি মারা গেছেন, বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।
১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন হুমাইরা হিমু। অভিনেত্রী হুমাইরা হিমু মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় ভুবনে আসেন। হিমু ২০০৬ সালে ‘ছায়াবীথি’ নামের টেলিভিশন নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। এরপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ অনেক দর্শকপ্রিয় নাটকে কাজ করেছেন।
এছারাও সম্প্রতি বেশ কিছু নাটকে কাজ করেছেন হিমু। এর মধ্যে রয়েছে `চাপাবাজ`, `বাকেরখনি`, `বউ বিরোধ`, `গোলমাল`, `নানান রঙের মানুষ` ও `গিনিস বুকে নাম` নাটকগুলো।
২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে হুমাইরা হিমু’র চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। চলচ্চিত্রের গল্পটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর ভিত্তি করে তৈরি এবং চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয়ে সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলেন হিমু।