আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পরীমণি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জানুয়ারি ২৭, ২০২৫, ১১:৫১ এএম

আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পরীমণি

ফাইল ছবি

মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের দায়ের করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।

সোমবার, ২৭ জানুয়ারি সকালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান পরিমণি। তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এই মামলায় গতকাল রবিবার পরীমণির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এদিন পরীমণির আদালতে হাজির না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

একই মামলায় পরীমণির কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমির বিরুদ্ধেও অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের এপ্রিলে পরীমণি ও জুনায়েদের বিরুদ্ধে সিজেএম আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গত বছরের ১৮ এপ্রিল আমলে নেন ঢাকার সিজেএম আদালত।

মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ২০২২ সালের ১৮ জুলাই ঢাকার আদালতে নালিশি মামলা করেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ২০২১ সালের ৮ জুন পরীমণি ও তার সহযোগীরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে ওয়াশরুম ব্যবহার করেন। পরে ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে ক্লাব ত্যাগ করার সময় পরীমণি তাকে ডাক দেন। পরে একটি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনা মূল্যে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় পরীমণি তাকে গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে পরীমণি হত্যাচেষ্টার জন্য একটি গ্লাস ছুড়ে মারেন, যা তার মাথায় ও বুকে লাগে।

এদিকে ২০২১ সালের ৮ জুন সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে পরীমণি ব্যবসায়ী নাসিরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ তিন আসামির বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৮ মে অভিযোগ গঠন করেন। পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

অন্যদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বিচার চলছে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ। মামলাটিও সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

Link copied!