দেশের স্বনামধন্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন। কণ্ঠশিল্পীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম।
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
সারওয়ার আলম জানিয়েছেন, আজ মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশন রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। এর আগে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেওয়া হয়েছিল।
একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। পাপিয়া সারোয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন। পাপিয়া ১৯৯৬ সালে ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতষ্ঠা করেছিলেন।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্র গানের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন। আধুনিক গানেও আছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।