অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটল—তেলেগু সিনেমার জনপ্রিয় তারকা রাশমিকা মন্দানা ও বিজয় দেবরাকোন্ডা নাকি বাগদান সম্পন্ন করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার হায়দরাবাদে দুই তারকার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধবদের উপস্থিতিতে একান্ত পরিবেশে এই বাগদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
যদিও এখনো দুজনের কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে খবরটি নিশ্চিত করেননি, তবু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তদের উচ্ছ্বাসে মুখর হয়ে উঠেছে তেলেগু সিনেমার অঙ্গন।
রাশমিকা ও বিজয়ের সম্পর্কের গল্প শুরু হয় ২০১৭ সালে। সেই সময় রাশমিকা তাঁর প্রাক্তন বাগদত্তা অভিনেতা রক্ষিত শেঠি-এর সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানেন। কিছুদিন পরই তিনি বিজয়ের সঙ্গে কাজ শুরু করেন গীতা গোবিন্দম (২০১৮) সিনেমায়—যা শুধু বক্স অফিসে সফল হয়নি, বরং তাঁদের পর্দার রসায়ন ঘিরে বাস্তব জীবনের প্রেমের গুঞ্জনও ছড়িয়ে দেয়।
পরের বছর তাঁদের পরবর্তী চলচ্চিত্র ডিয়ার কমরেড (২০১৯) সেই গুঞ্জন আরও তীব্র করে তোলে। ছবিতে তাঁদের পারফরম্যান্স ও পর্দার বাইরের আন্তরিকতা দেখে অনেকেই ধরে নেন, দুজনের সম্পর্কের গভীরতা পেশাগত সীমারেখা ছাড়িয়েছে।
২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যাওয়ার ঘটনাও বাড়তে থাকে—কখনও ডিনারে, কখনও বিমানবন্দরে, আবার কখনও ছুটির ছবিতে মিল পাওয়া যায় একই প্রেক্ষাপটের। রাশমিকার বিজয়ের পারিবারিক আয়োজনে উপস্থিতি সম্পর্কটিকে আরও স্পষ্ট করে তোলে।
যদিও দুজনেই দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, ২০২৩ সালের পর থেকে তাঁদের প্রকাশ্য উপস্থিতিতে খানিক খোলামেলাভাব লক্ষ্য করা যায়। ২০২৪ সালে চলচ্চিত্র প্রচারণার সময় সাক্ষাৎকারে তাঁরা প্রেমে থাকার ইঙ্গিত দিলেও নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত ছিলেন।
ডেকান ক্রনিকল-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাগদানটি ছিল একান্ত পারিবারিক অনুষ্ঠান, যা তাঁদের সম্পর্কের পরবর্তী ধাপের ইঙ্গিত বহন করছে। সূত্রমতে, তাঁরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন—সম্ভবত তাঁদের আসন্ন চলচ্চিত্র (পরিচালক রাহুল সংকৃত্যান) মুক্তির আগেই।
গীতা গোবিন্দম দিয়ে শুরু হওয়া তাঁদের পর্দার রসায়ন আজ বাস্তব জীবনের এক পরিণতিতে পৌঁছেছে। তেলেগু চলচ্চিত্রের এই জনপ্রিয় জুটি এখন কেবল পর্দায় নয়, জীবনের মাইলফলকও ভাগ করে নিচ্ছেন একসঙ্গে।