সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
লোকসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ও ‘লালনকন্যা’ খ্যাত ফরিদা পারভীনের মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে তার মরদেহ সেখানে আনা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শিল্পীকে কুষ্টিয়ায় তার মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে।
শিল্পীর ছেলে ইমাম নাহিল বলেন, ‘কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হবে। সেখানে বাদ জোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী, মরদেহ কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানকার পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’ খবর দ্য ডেইলি স্টার।
মৃত্যুকালে ফরিদা পারভীনের বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি স্বামী ও চার সন্তান রেখে গেছেন। তিনি তার দীর্ঘ সংগীতজীবনে লালনের দর্শন ও বাংলার লোকগানকে ধারণ ও বিশ্বব্যাপী প্রসারে কাজ করেছেন। সংগীতে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ফরিদা পারভীনের জন্ম ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর, নাটোরে। ১৯৬৮ সাল থেকে তার সংগীতজীবনের শুরু। নজরুলসংগীত ও দেশাত্মবোধক গান গাইলেও তিনি মূলত লালনগীতির শিল্পী হিসেবেই দেশ-বিদেশে খ্যাতি লাভ করেন। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯৩ সালে শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এ ছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের সম্মানজনক ‘ফুকুওকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারে ভূষিত হন।