এলিজাবেথ টেলর: রূপালি পর্দার ক্লিওপেট্রা

বিনোদন প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১, ০৭:১৭ পিএম

এলিজাবেথ টেলর: রূপালি পর্দার ক্লিওপেট্রা

হলিউড যাদের হাত ধরে আজকের স্বর্ণশিখরে, যে তারকাদের হাত ধরে হলিউডে জয় করেছে বিশ্বসিনে দর্শকদের মন; তাদের অন্যতম এলিজাবেথ টেলর। আধুনিক হলিউড তারকাদের অনেক প্রথার সূত্রপাত ঘটেছে তার হাত ধরে। তিনি সর্বকালের সেরা ফ্যাশন আইকনদের একজন। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের তালিকায় হলিউডের সর্বকালের সেরা নারী কিংবদন্তিদের মধ্যে ছয়জনের পরেই তার নাম। তাকে বলা হয় রূপালি পর্দার ক্লিওপেট্রা।

টেলরের মৃত্যুর পর তার পুত্র এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘আমার মা ছিলেন একজন অসাধারণ নারী যিনি তার জীবন পূর্ণাঙ্গভাবেই যাপন করে গেছেন। আনন্দ,প্যাশন, ভালবাসা- কিছুরই কমতি ছিল না তার জীবনে। পৃথিবীতে তিনি যে অবদান রেখে গেছেন তাতে আমরা সবসময় প্রেরণা পাবো।’

Elizabeth e ca o aventură de o noapte eternă - Catchy

হলিউডের সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের তিনি একজন। যেমন তার সৌন্দর্য, তেমনি অভিনয় প্রতিভা, আবার তেমনই বিতর্কিত তার ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্কগুলোও। কথা হচ্ছে, এলিজাবেথ টেইলরকে নিয়ে। আজ (শনিবার) তার জন্মদিন।

এলিজাবেথ জন্ম নেন লন্ডনে, ১৯৩২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। তার জন্মের সময় তার মার্কিন পিতা-মাতা লন্ডন প্রবাসী থাকলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিরে আসেন আমেরিকায়। লস অ্যাঞ্জেলসে শুরু হয় তার নতুন জীবন।

লিজ ছিলেন আজন্ম শিল্পী। মাত্র ৩ বছর বয়েসে নাচতে শুরু করেন অভিনেত্রী মায়ের কন্যা ছোট্ট লিজ। মাত্র ১০ বছর বয়েসে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। ১২ বছর বয়েসে পর পর কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে রীতিমতো তারকা বনে যান কিশোরী এলিজাবেথ।

কিন্তু এতসব সাফল্যের পাশাপাশি ট্র্যাজেডি আর বড় বড় ধাক্কাও মোকাবেলা করেন বিশ্বখ্যাত এই অভিনেত্রী। প্রযোজক স্বামী মাইক টড মারা যান ১৯৫৮ সালে। স্বামীর মৃত্যুর পরপরই তিনি স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু এডি ফিশারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে কানাকানি পড়ে যায় বেশ জোরেশোরেই।এলিজাবেথ

Dame Elizabeth Taylor

‘ক্লিওপেট্রা’ ছবিতে অভিনয়ের সময় প্রেমে পড়েন অভিনেতা রিচারড বারটনের সঙ্গে, পরের বছর ১৯৬৪ সালেই বিয়ে করেন তাকে। তার প্রেম ও বিয়ে নিয়ে কানাকানি চলতেই থাকে চলচ্চিত্র জগতে। সঙ্গে চলতে থাকে লিজের সাফল্যের অপ্রতিরোধ্য গতি।

অভিনয় ছাড়াও নানা সমাজ সচেতনতামূলক কাজেও অংশ নেন কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী। এইডস সম্পর্কে প্রচারণা চালান এ রোগে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রক হাডসনের মৃত্যুর পর।

একাধিকবার অস্কার ছাড়াও অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন অ্যামেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউট এর লাইফ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড বা আজীবন সম্মাননা।

নব্বইয়ের দশকটা প্রায় পুরোটাই ভোগেন নানারকম রোগে। শেষে ২০১১ সালের ২৩ মার্চ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এলিজাবেথ।

সূত্র: বায়োগ্রাফি ডট কম।

Link copied!