হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে চিরতরে টুইটার থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন বলিউডের ‘কুইন’ কঙ্গনা রানাওয়াত। বিতর্কিত টুইট করায় আইডি সাসপেন্ড করে দেয়া হয়েছিল তার। সম্প্রতি টুইটার কিনে পুরনো কর্তাদের সবাইকেই ছেঁটে ফেলেছেন ইলন মাস্ক। এরপরই টুইটারের ট্রেন্ডিংয়ে আবার উঠে আসে কঙ্গনার নাম। দাবি উঠে কঙ্গনার সাসপেন্ডেড টুইটার অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দিয়ে তার বাকস্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখার।
এই দাবির মাঝেই হঠাৎ কঙ্গনা রানাওয়াত নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে গত ১ নভেম্বর প্রথম টুইট করা হয়, ‘ধন্যবাদ ইলন মাস্ক, আমি ফিরে এলাম।’ অ্যাকাউন্টটি অক্টোবরে খোলা হয়েছে।
টুইট দেখে ভক্তরা দোটানায় পড়ে যান এটা কি ফেইক অ্যাকাউন্ট না কি আসলেই ইলন মাস্ক ফিরিয়ে আনলেন কঙ্গনাকে। দোটানায় পড়ার কারণ, এর বায়োতে লেখা অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল টিম - কঙ্গনা রানাওয়াত - দেশভক্ত - অভিনেত্রী।
অনেকে বলছেন, ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেয়ার পর পরিস্থিতি এমনটাই হয়েছে যে কঙ্গনার ফিরে আসার বিষয়টা অনেকটাই সত্যি ভাবতে শুরু করেছিলেন তারা। তবে কঙ্গনা রানাওয়াতের আসল যে অ্যাকাউন্টটি তা এখনো সাসপেন্ডেডই রয়েছে।
ভারতীয় আরেক বিতর্কিত অভিনেতা কেআরকে টুইটারে ইলন মাস্ককে ট্যাগ দিয়ে পোস্টে লিখেন কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট খুলে দিতে।
টুইটার থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর নিজের মতামত ব্যক্ত করতে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে থাকেন কঙ্গনা। বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছিলেন ইনস্টাগ্রাম স্টোরি। ইনস্টাগ্রাম থেকেও দুবার সাবধানবাণী শুনেছেন তিনি। বাধ্য হয়ে এখন কঙ্গনার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি তাঁর টিমই ম্যানেজ করে।
প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় কঙ্গনার টুইটার অ্যাকাউন্ট। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন কুইন অভিনেত্রী। একটি টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘এটা ভয়ঙ্কর। গুন্ডাইকে মারার জন্য আমাদের সুপার গুন্ডাই প্রয়োজন। উনি একজন ভয়াবহ দানবের মতো। তাঁকে আটকানোর জন্য ২০০০ সালের প্রথম দিকের বিরাট রূপটা দেখান মোদীজি।’ এরপরই সাসপেন্ড করে দেওয়া হয় অভিনেত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্ট।
কিছু দিন আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেইক অ্যাকাউন্ট থেকেও ইলন মাস্ককে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট করা হয়।
ইলন মাস্ক দায়িত্ব নেয়ার পর বলেছিলেন যেসব পুরোনো অ্যাকাউন্টকে একেবারে ব্যান করে দেয়া হয়েছিল সেগুলো পুনরায় সক্রিয় করার জন্য কাজ করবেন তিনি। অনেক টুইটার ব্যবহারকারীও লিখেছেন মাস্ক দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক দ্রুত বাড়ছে। এবার দেখা যাক আসলেই পুরোনোদের নতুন করে যাত্রা শুরু করতে টুইটারে নিয়ে আসেন কি না ইলন মাস্ক।