ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস দলের সদস্য নুসরাত জাহান পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।অপারেশনের পর মা এবং ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম খাসখবর ও জিনিউজের খবরে বলা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সকালে হাসপাতাল থেকে হাসিমুখে ছবি পোস্ট করেন নুসরত।
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার (২৫ আগস্ট) রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী নুসরত জাহান দক্ষিণ কলকাতার ভাগীরথী নেওটিয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার পর হাসপাতালে পৌঁছান নুসরাত। হাসপাতাল চত্বরে জারি হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। হাসপাতালের ৫১১ নম্বর বেডে রয়েছেন তিনি।
নুসরাতকে ওটিতে নিয়ে যাওয়ার সময় পাশে ছিলেন যশ দাশগুপ্ত। ছবি: জিনিউজ
তবে হাসপাতালে যাওয়ার আগে রাত ৮টা নাগাদ নিজের বালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যশ দাশগুপ্তের বাড়িতে যান অভিনেত্রী। সেখান থেকে পার্ক স্ট্রিটের হাসপাতালে পৌঁছন যশ। অভিনেতা নিজেই ড্রাইভ করে নুসরাতকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত এবং তারপর থেকে নিজেও হাসপাতালে থাকেন যশ। অবশেষে এতদিনের অপেক্ষার পর ভূমিষ্ঠ হলো নুসরাতের সন্তান। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার তারিখ সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে থাকলেও তা এগিয়ে এসে আগস্টের শেষেই পুত্র সন্তানের জন্ম দিলেন অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরত জাহান।
চলতি বছরের শুরুতে নুসরাত একটি বিবৃতিতে জানান, নিখিল জৈন’র সাথে তার বিয়েটি ভারতীয় আইনে বৈধ ছিল না। এর কয়েক মাস পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নুসরাতের ‘বেবি বাম্প’-এর ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। প্রশ্ন উঠে অভিনেত্রীর অনগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় নিয়ে। গুঞ্জন ওঠে অভিনেতা যশ দাসগুপ্তকে ঘিরে। কারণ নিখিল জৈনের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরলে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০১৯ সালে বেশ বড় আয়োজন করে নিখিল জৈন’র তুরস্কে বিয়ের অনুষ্ঠান করেছিলেন।
নুসরাতের সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর নানা রকমের প্রশ্ন ওঠে। নিখিল জৈনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকেই যশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। নিজেরা মুখ না খুললেও নেটিজেন জানে, দুজনেই পরস্পরের খুব ঘনিষ্ঠ। সম্প্রতি প্রকাশ্য রাস্তায় গর্ভবতী নুসরাতের সঙ্গে হাঁটতে দেখা গিয়েছে যশকে।
এছাড়াও বিগত কয়েকদিনে এক সঙ্গে অনেকটাই সময় কাটিয়েছেন নুসরাত ও যশ। যশের সঙ্গে একসঙ্গে ছবি না দিলেও যশের পোষ্য কুকুরকে নিয়ে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে নুসরাতকে।