আজ ৫ এপ্রিল (সোমাবার) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন শুরু হয়েছে। তবে লকডাউনে শ্যুটিং বন্ধ না করে ১২ ঘন্টা শ্যুটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছোট পর্দার সংগঠন গুলো। শুধু বদলে গেছে শ্যুটিংয়ের সময়। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে শ্যুটিংয়ের সময় ছিল সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। কিন্তু এখন এই পরিস্থিতিতে শ্যুটিং চলবে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
তবে এই সিদ্ধান্তে পুরোপুরি সমর্থন দিচ্ছে না সংগঠনগুলো। তারা জানিয়েছে, যদি একান্তই শ্যুটিং করার প্রয়োজন থাকে তাহলে এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করতে হবে। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এছাড়াও ছোট পর্দার চারটি সংগঠনের কঠোর নীতিমালা মানতে হবে। কিন্তু করোনা পরিস্তিতি খারাপ হতে থাকলে খুব দ্রুত শ্যুটিং বন্ধের ঘোষনা আসতে পারে।
এ বিষয়ে অভিনয়শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম জানান, সরকারি প্রজ্ঞাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্পকারখানা, ব্যাংক, বিমা ও জরুরি কিছু সেবা চালু থাকবে। এই সময়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় শুটিং করতে কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো শিল্পীকে শুটিং করতে উৎসাহিত করছি না। জীবনের প্রয়োজনে আমাদের ঘরে থাকা উচিত। তবে কেউ চাইলে শুটিং চালিয়ে যেতে পারেন।’
এদিকে গাজীপুরের পুবাইলে শুটিং করছেন নির্মাতা আল হাজেন। তার পরিচালিত ‘মেহমান' নাটকে অভিনয় করছেন ফারুক আহমেদ, সাজু খাদেম, মৌ, তানজিকা আমিনসহ অনেকে। শ্যুটিংয়ে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা হচ্ছে সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সর্ব্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুটিংয়ের চেষ্টা করছি। হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক সবই আছে। নিয়ম কেউ মানতে চায়, কেউ চায় না। তবে আমার পক্ষ থেকে নিয়ম মানার কড়া নির্দেশ আছে।’ আগামীকালও লকডাউনে শুটিং রয়েছে এই নির্মাতার। তবে শুটিং হবে কি না, এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। সংগঠন যে সিদ্ধান্তই দিক, সেটা মেনে কাজ করবেন সকলে।
গত বছর প্রথম দফার লকডাউন ঘোষনার পর তৎক্ষণাৎ শ্যুটিং বন্ধ করা হয়েছিল। তবে এবার সরাসরি শ্যুটিং বন্ধ বলতে পারছে না সংগঠনগুলো। এ বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দীন লাভলু জানান, প্রজ্ঞাপনে শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও অফিস সীমিত আকারে চালু রাখার কথা বলা হয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া বের হওয়া যাবে না। এসব বিষয় তারা এখনো বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি মনে করেন, কাজই তাদের রুটি–রুজির জায়গা। সেই জায়গা থেকেই তারা সতর্কতার সঙ্গে শুটিং করতে বলছেন। তবে শিগগিরই শুটিং নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। এমনও হতে পারে, শুটিং বন্ধ।
এছাড়াও সালাউদ্দীন লাভলু বলেন, ‘সরাসরি শুটিং বন্ধ, এবার আমরা এটা বলতে পারব না। বন্ধ বললে সহকর্মীদের দায়দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে। এটা আমাদের দ্বারা সম্ভব নয়। আবার ‘শুটিং করো’ এটাও বলতে পারছি না। তখন সরকার আমাদের ধরবে। আমরা শুটিংয়ের পক্ষেও নই, বিপক্ষেও নই।’