জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৯:৪১ এএম
৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জিতে স্বাভাবিকভাবেই আর্জেন্টিনা দলের আনন্দের উচ্ছ্বাস ছিল বাঁধভাঙা। কিন্তু সেই বাঁধ ভেঙে যাওয়া সীমা লঙ্ঘন করে তাদের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ফিফাও তদন্ত করে দেখছে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল জয়ের পর আনন্দে ভেসে যাওয়া লিওনেল স্কালোনির দল কোনো শাস্তিমূলক কার্যক্রম করেছিল কি না।
এএফপির প্রতিবেদনে জানা যায়, ফিফা মনে করছে আর্জেন্টিনা দল ‘আক্রমণাত্মক আচরণ ও ফেয়ার প্লের নীতিমালা লঙ্ঘন’ এবং ‘খেলোয়াড় ও অফিশিয়ালদের বাজে আচরণ’–সম্পর্কিত বিধিমালা ভেঙেছে। এ জন্য ডিসিপ্লিনারি বিধির ১১ ও ১২তম ধারা ধরে তদন্ত শুরু করেছে ফিফা।
গত ১৮ ডিসেম্বর কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। তিন যুগ পর বিশ্বকাপ জয় বলেই আর্জেন্টিনা দলের উদযাপন ছিল বাঁধভাঙা।
টুর্নামেন্টের সেরা গোলকিপারের পুরস্কার (গোল্ডেন গ্লাভস) জয়ের পর সেটি হাতে নিয়ে অশ্লীল ভঙ্গি করেন আর্জেন্টিনা দলের গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। ড্রেসিংরুমে ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়েও মজা করে আর্জেন্টিনা দল। দেশে ফেরার পরও এমবাপ্পেকে খোঁচানো থামাননি মার্তিনেজ। ছাদখোলা বাসে শোভাযাত্রার সময়ও এমবাপ্পেকে নিয়ে বিদ্রুপ করেন আর্জেন্টিনা দলের এই গোলকিপার।
এমন উদযাপনের প্রতিবাদ জানিয়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে (এএফএ) চিঠিও পাঠিয়েছিল ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ)। এমবাপ্পেকে খুঁচিয়ে মার্তিনেজদের উদযাপনকে ‘অস্বাভাবিক’ বলেছিল এফএফএফ।
ফাইনালে শুধু আর্জেন্টিনা দলের উদযাপন নিয়ে তদন্ত নয়, এএফএর বিরুদ্ধেও তদন্ত করবে ফিফা। মেসির দেশের বোর্ডের বিরুদ্ধে মিডিয়া ও মার্কেটিং নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে। ফিফা মনে করে, ফাইনালে ডিসিপ্লিনারি নীতিমালার ৪৪তম ধারা ভেঙেছে এএফএ।