লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে জার্মানির অসহায় আত্মসমর্পন। ইংল্যান্ডের কাছে শেষ ষোলোর ম্যাচে ২-০ গোলে হারল ম্যানুয়েল নয়্যারের দল। এ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে গোল করেছেন রাহেম স্টারলিং ও হ্যারি কেইন।
১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপের ফাইনাল ছিল এই ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। ইংল্যান্ড সেই ফাইনালে জার্মানিকে ৪-২ গোলে হারায়। এরপর আর এই লন্ডনে জার্মানিকে হারাতে পারেনি ইংলিশরা। ৫৫ বছর পর আসলো কাঙ্খিত জয়। নক পর্বে বারবার পরাজিত হওয়ার দুঃখও কমেছে বৈকি।
জমজমাট ম্যাচই হয়েছে। তবে জার্মানদের মনে হয়েছে কোনঠাসা। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো গোল হয়নি। ইংল্যান্ডের আক্রমণ কড়া ছিল। ১৫ মিনিটে রাহেম স্টারলিংয়ের শট রুখে দেন জার্মান গোলরক্ষক নয়্যার।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র ছিল। পরের অর্ধে ইংল্যান্ড আরো আক্রমনাত্বক খেলতে থাকে। ৭৫ মিনিটে শ‘য়ের পাস থেকে গোল করেন সেই স্টারলিং। ম্যানচেস্টার সিটির এই সফল খেলোয়াড় জাতীয় দলে সফল হলেন।
হ্যারি কেনের সময় ভাল যাচ্ছিল না। ৮৬ মিনিটে বক্সে গ্রিলিসের ক্রস থেকে হেডে গোল করেন কেন। ২-০ গোলে ইংল্যান্ড এগিয়ে যায়। ম্যাচের আর বেশিক্ষণ বাকি ছিল না। ইংল্যান্ড শেষ আটে পৌঁছে যায়।
কোয়ার্টার ফাইনাল হবে রোমে। সেখানে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ হতে পারে সুইডেন নয়তো ইউক্রেন।