আগস্ট ৮, ২০২৩, ০৬:৫৫ পিএম
তামিম ইকবাল অবসর নিয়েছেন। বাংলাদেশ এখনও ওয়ানডে অধিনায়কের নাম ঘোষণা করতে পারেনি। মঙ্গলবার কথা ছিল। কিন্তু আলোচনায় রফা হয়নি। সভা শেষে বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক নির্বাচনের দায়িত্ব বোর্ডের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে।
জালাল ইউনুসের পুরো বক্তব্য তুলে ধরা হলো-
আপনারা জানেন যে, আজকে আমাদের একটা ইমার্জেন্সি মিটিং ছিল। ইমার্জেন্সি মিটিং ডাকার জন্য একটা কারণ ছিল সেটা ক্যাপ্টেন্সির ব্যাপারে। মূলত এশিয়া কাপের ক্যাপ্টেন নির্বাচনের কথা ছিল। আমরা আজকে বোর্ড সভায় বসেছিলাম। পরে বোর্ড থেকে আমরা সবাই মাননীয় বোর্ড সভাপতিকে ক্যাপ্টেনসি সিলেক্ট করার জন্য, ক্যাপ্টেন সিলেক্ট করার জন্য আমরা ওনাকে দায়িত্ব দিয়েছি। উনি এখন ভেবেচিন্তে যে কয়জন প্রোবাবল ক্যান্ডিডেট আছে ক্যাপ্টেনসির জন্য তাদের সাথে কথা বলে উনি আমাদের…আমরা ফাইনাল করব। আশা করি, আমরা দুই তিনের মধ্যে বিফোর ১২ আগস্ট আমাদের ডেটলাইন আছে তার আগে আমরা ক্যাপ্টেন ডিসাইড করে আপনাদের জানিয়ে দিবো।
এতোদিন আলোচনা হয়নি কেন…
প্রথম কথা হচ্ছে তারা এখন কয়েকজন বাইরে আছে। তবে টেলিফোনে আলাপ করা যায়। এরমধ্যে আমাদের নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা ছিল। কারণ, যাকে দেওয়া হবে , আমরা চাচ্ছি যে, তাকে ভালোভাবে বুঝে শুনে তাকে এখানে ফরম্যাটগুলো আছে, কাউকে সব ফরম্যাটে দিবো বা দুই ফরম্যাটের জন্য কি না…ক্যাপ্টেনসির জন্য যাকে বলা হবে তারা রাজি আছেন কি না। এইসব আলাপ আলোচনার জন্য সময় নেওয়াটা। যেহেতু এখানে অনেক কিছু ইস্যু চলে আসছে মাননীয় প্রেসিডেন্টকে সবাই বলেছে আপনি দায়িত্ব নিয়ে আপনি তাদের সাথে কথা বলেন এবং আমাদের নির্বাচিত যে ক্যাপ্টেন হবে সেটা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আলোচনা হয়েছে কি না—
না আলাপ আলোচনা হয়নি। আজকে থেকে উনি আলোচনা শুরু করবেন। যেহেতু উনি দায়িত্ব নিয়েছেন আজকে সুতরাং আজকে থেকে অফিসিয়ালি আলাপ আলোচনা শুরু হবে।
সম্ভাব্য—
আপনারা জানেন সাকিব আছে। লিটন আছে। আরেকজন আমাদের প্রমিজিং মিরাজ আছে। সেও একজন আমাদের অনেকের মধ্যে নামগুলো উঠে এসেছে। এবং এদের নামগুলো আপনারাও সবাই জানেন। এদের মধ্য থেকে এদের সঙ্গে মূলত আলাপ আলোচনা করা হবে।
ওয়ানডে ক্যাপ্টেন না সব ফরম্যাট—
না এইভাবে আলোচনা হয়নি। যেহেতু আমাদের সামনে এশিয়া কাপটা আছে আমরা চাচ্ছি আগে এশিয়া কাপের ক্যাপ্টেনসি আগে অ্যানাউন্স করি। এর সাথে সাথে মূলত আরও বাকি যে দুই ফরম্যাট আছে একসাথেই হয়তো চিন্তা ভাবনা করে তখন এটা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
বিশ্বকাপের ক্যাপ্টেন—
এই জন্য আমরা ক্যাপ্টেনটা… যেহেতু আমাদের ১২ তারিখ মধ্যে দিতে হবে সেই জন্য ১২ তারিখের মধ্যে এশিয়া কাপের ক্যাপ্টেনসি দেওয়া হবে। আমাদের টিমও দেওয়ার ব্যাপার আছে সেই সাথে। যেহেতু ওয়ার্ল্ড কাপ ৫ সেপ্টেম্বর আমাদের কাট আউট টাইম তার আগে আমরা চাচ্ছি যে ভেবে চিন্তে পরবর্তীতে বিশ্বকাপের ক্যাপ্টেনসি অ্যানাউন্স করার।
কত দিনের অধিনায়ক—
এইগুলো আলোচনা আপনারা জানি যারা প্রোবাবল ক্যাপ্টেন তাদের সাথেই আলোচনা করে ফাইনালজ করা হবে।
আলোচনা কীভাবে হবে—
টেলিফোনের মাধ্যমে ডেফিনিটলি। নিশ্চয় নিজেদের মধ্যে কিছু ইস্যু আছে। ইতোমধ্যে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি। এইগুলো পাবলিকলি বলছি না। আমাদের মধ্যে কিছু চিন্তা ভাবনা করতে হচ্ছে। সেইগুলো আমরা ভেবে চিন্তে ডিসাইড করে আলোচনা করা হবে।
সাকিবের সঙ্গে আলোচনা—
আপনার প্রশ্নের মধ্যেই অনেক ইস্যু আছে। সেইগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এশিয়া কাপ-বিশ্বকাপে আলাদা অধিনায়ক—
এখন তো আমার মনে হয় ওয়ানডে ক্যাপ্টেন যে হবে তার কন্টিনিউ করা উচিত।
১২ তারিখের মধ্যে বিসিবি বিশ্বকাপ ক্যাপ্টেন খুঁজে পাবে কি না—
নট এক্সাটলি। আলাপ আলোচনা করে পরবর্তীতে আমরা ফাইনাল করব। সবটা নিয়ে…এরপর তো আমাদের নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে। এরপর আমরা বিশ্বকাপে যাবো। এশিয়া কাপের পর তো নিউজিল্যান্ড। তারপর ওয়ার্ল্ড কাপ। তিনটা খেলা আছে আমাদের এখানে। তিনটা খেলার জন্য যেই আমাদের ওডিআই ক্যাপ্টেন সেই কন্টিনিউ করবে।
এশিয়া কাপের ক্যাপ্টেন বিশ্বকাপে—
এই জন্য লেট আস ডিসাইড অ্যান্ড ফাইনালজড দ্য এশিয়া কাপ ফার্স্ট।
বিসিবি কী ট্রাবলে কি-না
আলাদা আলাদা আমি কিন্তু বলি নাই। আমি বলেছি যেহেতু লেট আস ডিসাইড… তিনটা ফরম্যাটই তো ওয়ানডে। আমি যে তিনটা বললাম বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ডেফিনিটলি আমরা এশিয়া কাপের জন্য যেই দল দিবো, এশিয়া কাপের জন্য যে ক্যাপ্টেন ডিসাইড করব, যে ক্যাপ্টেনটার সঙ্গে কথা বলব আরও দুইটা ফরম্যাট আছে। তো এইগুলো নিয়ে তার সঙ্গে আলাপ করতে হবে না? অ্যাটলিস্ট…এইগুলো তো ব্যাক টু ব্যাক। ….তিনটা খেলার জন্যই তো আমাদের ডিসাইড করতে হবে। তিনটা টুর্নামেন্টের জন্য। দ্যাট ইজ দ্য রিজন ভেবে চিন্তে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের জানানো হবে।
টেলিফোনে আলাপ—
টেলিফোনে আলাপ করে তুমি হবা ক্যাপ্টেন? এই একটা লাইনেই তো শেষ না। ডেফিনিটলি সামনে অনেক কিছু ব্যাপার আছে। যে ক্যাপ্টেন হবে তারও হয়তো কিছু বলার থাকে। বক্তব্য থাকতে পারে। তারও কিছু চাওয়া থাকতে পারে। সেইগুলো আমাদের শোনা দরকার। আমাদের মাননীয় সভাপতি ওনাদের সঙ্গে কমিউনেট করবে। উনি কমিউনেট করার পর আপনাদের জানানো হবে।
লাল-বলের আলাদা অধিনায়ক—
এটা আমাদের তরফ থেকে নাই। যদি ক্যাপ্টেন বলে যাদের কথা বলেছি। সম্ভাব্য যাদের কথা বলেছি, তাদের কোনো প্রোপোজাল থাকলে জানতে চাইবো।
লং টার্ম কি না
এই যে একটা কথা আপনি বললেন বিশ্বকাপ পর্যন্ত নাকি আরেকটু লং টার্ম। এটা প্রপোজাল যখন আসবে, আমাদের মাননীয় সভাপতি ক্যান্ডিডেট থেকে আগে শুনবে তাদের চিন্তাধারাটা কী। আমরা কারও কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছি না। আগে তারা বলুক। এরপর এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো।
পাপন ভাই
আজকে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি কি ইজিলি হ্যান্ডেল করতে পারছি মনে হচ্ছে আপনাদের? যাই হোক, ক্যাপ্টেন্সি অনেক বড় ইস্যু। উনার কাছেও রিপ্লাই নাই। উনার কাছে নাই। আপনারা আশ্বস্ত থাকেন আমার ওপর, উনি দায়িত্বটা নিয়েছেন। তাকে প্রবাবল ক্যান্ডিডেটদের সঙ্গে কথা বলতে দেন। দুয়েকদিনের মধ্যে আপনাদেরই জানাবো।
টু লেট কি না
দেরি হয়নি। আমরা ১২ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে কাট অফ টাইম। তার আগেই জানাবো।
ক্যাপ্টেন্সি ইস্যুতে প্রগ্রেস
আমরা বোর্ড পরিচালক অনেকে আছে। সবার সঙ্গেই আলাপ আলোচনা হয়েছে অবশ্যই। আজকে বোর্ড মিটিংয়েও আলাপ হয়েছে। এখানে কয়েকটা নাম তুলেছে অনেকে। টেলিফোনে আমাদের সঙ্গে অনেকের কথা হয়েছে। এই প্রগ্রেস এতদিনে হয়েছে। তাদের (ক্যান্ডিডেট) সঙ্গে যোগাযোগটা আজকে থেকে শুরু হবে অফিশিয়ালি।
আজকের মিটিং কী নিয়ে
আপনি কি তাহলে আমার কথা বুঝতে পারেন নাই? বোর্ড আজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মাননীয় সভাপতিকে। উনি এই নেগোসিয়েশনটা করবেন সম্ভাব্য ক্যান্ডিডেটদের সঙ্গে।
স্কোয়াড
স্কোয়াডও দুই তিনদিনের মধ্যে জেনে যাবেন। মূলত ২০-২২ জনের স্কোয়াড দেওয়ার কথা রয়েছে। যখন এনাউন্স আসবে, ক্যাপ্টেন্সিসহ পাবেন।
১২ তারিখ একটা টিম দিতে হবে। এই কয়দিনের ভেতর টিম ও অধিনায়ক পেয়ে যাবেন।
রিয়াদ
এটা সিলেক্টরদের ইস্যু। টিম ম্যানেজম্যান্টের ইস্যু এটা তাদের কাছে থাকুক। সিলেকশনের পার্ট আমাদের না। কোন সিলেক্টর বলেছেন আমি জানি না। আমার কোনো এখতিয়ার নেই কারো দলে ঢুকানোর ব্যাপারে। তারাই সাজেস্ট করেন, কোচের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরে তারা নামগুলো ঠিক করেন।
কে থাকবেন নাকি থাকবেন না ফাইনাল ডিসিশন সিলেক্টররািই নেবে। তারাই ফাইনাল তালিকা দেবে।