৪৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। পার করেছিল শতরান। সাকিবের ৫৩ আর মুশফিকের ৬৪ রানের ইনিংস নিয়ে ৩৮ ওভার ৪ বলে ১৯৩ রানে অলআউট হয়ে গেল বাংলাদেশ।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে সুপার ফোরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তানি পেসারদের তাণ্ডবে ভেঙে পড়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম পাওয়ার প্লেতেই টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ছাড়া আরও কেউই সুবিধা করতে পারেননি।
৪৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পর আর কোনো উইকেট না হারিয়েই শতরান পূর্ণ করেছে বাংলাদেশ। শাদাব খানের করা ২১তম ওভারের প্রথম বলে স্লগ সুইপে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে শতরান পার করেন মুশফিক।
গতির ঝড় তুলে নাঈম শেখ ও তাওহীদ হৃদয়কে শিকার করেন হারিস রউফ। তার আগে নাসিম শাহ আর শাহিন আফ্রিদিও আঘাত হানেন।
বাংলাদেশ এশিয়া কাপের সুপার ফোরে তিনটি ম্যাচ খেলবে। পরের দুটি ম্যাচ শ্রীলংকা (৯ সেপ্টেম্বর) ও ভারতের (১৫ সেপ্টেম্বর) বিপক্ষে।
এই মাঠে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে হারায় বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে সুবিধা আছে। পিচ ব্যাটিংবান্ধব। আর সুবিধা করা যাবে বলে মনে করেন সাকিব।
ওয়ানডে ক্রিকেটে দুই দল ৩৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের জয় ৫টি। পাকিস্তানের ৩২টি। এশিয়া কাপে দুই দল ১৩ ম্যাচ খেলেছে। পাকিস্তানের ১২ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জিতেছে ১টিতে।
বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি হাসান মিরাজ, শামীম হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
পাকিস্তান একাদশ: ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম (অধিনায়ক), সালমান আগা, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), ফাহিম আশরাফ, শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হারিস রউফ।