মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মাশরাফির ফেরাটা সুখকর হয়নি। শুক্রবার বিপিএলে প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জারসের কাছে তার নেতৃত্বে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্স। আর হারও ৭ উইকেটে।
আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে সিলেট। জবাবে ১৮.৩ ওভারে জয় নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম (১৮০/৩)। ৩০ বলে ৬১ রান করে অপরাজিত ছিলেন চট্টগ্রামে নাজিবুল্লাহ জাদরান। তাকে ম্যাচসেরা ঘোষণা করা হয়।
মাশরাফি এ ম্যাচে বল করেছেন। ২.৩ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। চট্টগ্রামের শাহাদাত হোসেন ৩৯ বলে ৫৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন।
চট্টগ্রামের শুরুটা ভাল করে যান আভিসকা ফার্নান্দো। ২৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হন তিনি। সিলেটের স্কোর খারাপ ছিল না। বাঁ-হাতি ব্যাটার জাকির হাসানের হাফ-সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দশম আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৭৭ রান করেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৪৩ বলে ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন জাকির।
আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রাম। ব্যাট হাতে সিলেটকে ৫০ বলে ৬৭ রানের শুভ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ মিঠুন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। পাওয়ার প্লেতে ৪৭ রান তোলেন তারা।
নবম ওভারে সিলেটের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন চট্টগ্রামের বাঁ-হাতি স্পিনার নিহাদুজ্জামান। ৭টি চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করা শান্তকে শিকার করেন তিনি।
শান্ত ফেরার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি মিঠুনও। আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে আউট হবার আগে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৮ বলে ৪০ রান করেন মিঠুন।
১২তম ওভারে দলীয় ৯৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিন নম্বরে নামা জাকির হাসান। ক্যাম্ফারের করা ১৪তম ওভারে ৩টি চারে ১৭ রান তুলেন জাকির। ১৭তম ওভারে টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ অর্ধশতক পূর্ণ করতে ৩১ বল খেলেন জাকির।
হাফ-সেঞ্চুরির পর আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টরের সাথে শেষ ৪ ওভারে ৪৩ রান যোগ করেন জাকির। এতে ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৭৭ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। তৃতীয় উইকেটে জাকির-টেক্টর ৪৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮২ রান যোগ করেন।
টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন জাকির।