প্রতি বছরের মত এবারও বেতন ও বোনাসের টাকা বেড়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান এক্ষেত্রে একেবারেই কিপটেমি করেননি। অধিনায়ক শান্তর বেতন শুনলে আপনার পিলে চমকে যাবে! প্রতি মাস শেষে এখন তার ব্যাংকে ঢুকবে ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা! যেখানে সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার সাকিব পাবেন ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এক ক্রিকেট বোর্ড থেকেই এতো আয় তাদের। এছাড়া স্পন্সর মানি, বোনাস, সিরিজ জয়ের টাকা, বিজ্ঞাপন, উৎসব, ইনসুরেন্সসহ আরও ভাতা তো আছেই।
কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে তিন ফরম্যাটেই জায়গা পেয়েছেন মোট ৫ জন ক্রিকেটার। তারা হলেন সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত ও শরিফুল ইসলাম। তাদের প্রত্যেকেই তিন ক্যাটাগরিতে বেতন পেলেও সব ক্যাটাগরি থেকে পূর্ণ অর্থ পাবেন না।
এক জন ক্রিকেটার সর্বোচ্চ প্রথম ক্যাটাগরি থেকে শতভাগ, দ্বিতীয় ক্যাটাগরি থেকে ৫০ শতাংশ ও তৃতীয় ক্যাটাগরি থেকে ৪০ শতাংশ টাকা পাবেন। শান্ত এ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকায় টেস্ট থেকে পাবেন সাড়ে ৪ লাখ (শতভাগ), ওয়ানডে থেকে ২ লাখ (৫০ শতাংশ) ও টি-টোয়েন্টি থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার (৪০ শতাংশ)। পাশপাশি তিন ফরম্যাটে নেতৃত্বে জন্য আরও পাবেন ১ লাখ ২০ হাজার (প্রত্যেক ফরম্যাটের জন্য ৪০ হাজার করে)। সবমিলিয়ে শান্তর মাসিক বেতনের পরিমাণ ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা।
শান্তর পর সবচেয়ে বেশি বেতন পাবেন সাকিব। তার মাসিক বেতনের পরিমাণ ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তাছাড়া ৫ লাখের বেশি বেতন পাবেন আরও ৫ ক্রিকেটার। তারা হলেন মুশফিকুর রহিম (৬ লাখ ৫০ হাজার), লিটন (৬ লাখ ৫ হাজার), তাসকিন (৫ লাখ ৭৫ হাজার) মিরাজ (৫ লাখ ৫০ হাজার), শরিফুল (৫ লাখ ৫০ হাজার)।
অধিনায়ক হওয়ার জন্য শান্ত বাড়তি বেতন ও বোনাস পেয়েছেন। বেশ ভাল করেছেন তিনি। চলতি বছর নতুন এজিএম শেষে বেতন আরও বেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। আর এছাড়া ক্রিকেটাররা সাধারণত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও বিপিএল থেকে আয় করে থাকেন। স্পন্সর, বিজ্ঞাপন, এম্বাসেডর হলেও ভাল টাকা-পয়সা যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য সব ক্রিকেটার যে এমন আয় করেন তা নয়। হাতে গোনা কয়েকজনের ভাগ্য ভাল ও খুব ভাল বলতে হবে।