বিশ্বকাপে দলের বাজে পারফরমেন্সের কারনে কোচিং স্টাফদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হতে পারে বলেও জল্পনা ছিল। বিশ্বকাপের মাত্র সাত মাস আগে দলের দায়িত্ব পান হাথুরুসিংহে। ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ আছেন তিনি। হাথুরু নিজেই জানিয়েছেন, বিশ্বকাপের পরই তার আসল কাজ শুরু হবে। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ইভেন্টে দলের ব্যর্থতার দায় নেন তিনি।
দিল্লিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ম্যাচের আগে হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, ‘মাত্র সাত মাস হলো দায়িত্ব পেয়েছি। এর মধ্যে খুব বেশি কিছু করার নেই। আমি যেটা করেছি, তা হলো দল যেখানে ছিল, সেখান থেকে এগিয়ে নিতে এবং তারা যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তা নিশ্চিত করা। সত্যি বলতে, আমার আসল কাজ শুরু বিশ্বকাপের পর। কারণ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি আলাদা, এরপর এখান থেকে দলকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে। সেটা ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জ।’
বাংলাদেশ কোচিং স্টাফের একমাত্র সদস্য হিসেবে রোববার একই ফ্লাইটে খেলোয়াড়দের সাথে ঢাকায় ফিরেছিলেন হাথুরুসিংহে। বাকি কোচিং স্টাফরা পরিবারের সাথে সময় কাটাতে ছুটি নিয়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্বান্তের কথা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) আগেই জানিয়েছিলেন পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড এবং কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাস। ধারনা করা হচ্ছে, চুক্তি নবায়ন করতে রাজি হবেন না স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথও।
হাথুরুসিংহে এবং সহকারী কোচ নিক পোথাস ছাড়া বাকি সব কোচের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩০ নভেম্বর। তবে আসন্ন নিউজিল্যান্ড টেস্ট সিরিজকে বিবেচনায় নিয়ে অন্তত এ বছরের জন্য তাদের ধরে রাখতে চায় বিসিবি।
বিসিবির অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে,খেলোয়াড়দের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পেতেই এনসিএল ম্যাচ দেখবেন হাথুরুসিংহে। যারা বড় ফরম্যাটের জন্য বিবেচিত হতে পারেন। বিশ্বকাপ পারফরমেন্স বাদ দিলে বাংলাদেশের ওয়ানডে পারফরমেন্স ভালো অবস্থায় আছে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। কিন্তু টেস্ট ফরম্যাটের অবস্থা খুবই বাজে। ঐ ফরম্যাটে এখনও দুর্বল টাইগাররা।