শান্ত অধিনায়ক, নান্নুর বিদায়, লিপু ইন!

স্পোর্টস ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৮:০১ পিএম

শান্ত অধিনায়ক, নান্নুর বিদায়, লিপু ইন!

ছবি: এএফপি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভায় বোমাই ফাটল। সাকিব আল হাসান চোখের সমস্যায় তিন ফরম্যাট থেকে অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন৷ নাজমুল হোসেন শান্তকে তিন ফরম্যাটে অধিনায়ক করা হয়েছে। আর এই মেয়াদ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত। 

এদিকে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেল থেকে সরে গেলেন সুমন ও নান্নু। গাজী আশরাফ লিপু প্রধান নির্বাচক হয়েছেন৷ তার সঙ্গে কাজ করবেন রাজ্জাক ও হান্নান সরকার। 

নাজমুল হাসান পাপন বিসিবির বোর্ড সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানান। কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরে গেছেন তামিম ইকবাল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রয়েছেন অবশ্য। 

প্রথমে ২০০৯ সালে অধিনায়কের দায়িত্ব পান সাকিব। কিন্তু দুই বছর পর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজা অবসর নিলে আবারও এই ফরম্যাটে অধিনায়ক হন সাকিব। ঐ বছর টেস্ট অধিনায়কত্ব পাবার পর আইসিসি কর্তৃক এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞার কারনে নেতৃত্ব হারান সাকিব।
২০২২ সালের জুনে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব পান সাকিব। পরে টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হন তিনি। গত বছরের আগস্টে তামিম ইকবাল ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাাঁড়ালে বাংলাদেশের সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় সাকিবকে।

মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন লিপু। ২০১১ সালে নির্বাচক প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হবার পর ২০১৬ সাল থেকে নির্বাচন প্যানেলকে নেতৃত্ব দেন নান্নু। তার প্যানেলেরই অপর সদস্য  নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের মেয়াদ বাড়েনি। তবে বহাল রাখা হয়েছে অন্য নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাককে।
সুমনের জায়গায় বাংলাদেশের সাবেক ব্যাটার হান্নান সরকারকে নির্বাচক প্যানেলে যুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে সাবেক বিসিবি পরিচালক এবং ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক লিপু।
বিসিবি ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন লিপু।
বোর্ডের নেওয়া আরও কিছু সিদ্বান্তের মধ্যে ২০২৪ সালে জাতীয় খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চুক্তিতে মোট ২১ জন ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু চুক্তিতে জায়গা হয়নি তামিম ইকবালের। এতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তামিমের ভবিষ্যত নিয়ে শংকা আরও বেড়ে গেল।
তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা হয়েছে শুধুমাত্র  লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম এবং অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে।  মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে  রাখা হয়েছে শুধুমাত্র ওয়ানডেতে।  

Link copied!