সৌম্যর সেঞ্চুরি; ২৯২ রানের লক্ষ্যে দারুণ শুরু নিউজিল্যান্ডের

স্পোর্টস ডেস্ক

ডিসেম্বর ২০, ২০২৩, ১০:১৮ এএম

সৌম্যর সেঞ্চুরি; ২৯২ রানের লক্ষ্যে দারুণ শুরু নিউজিল্যান্ডের

সংগৃহীত ছবি

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সৌম্যের করা সেঞ্চুরির সুবাদে বাংলাদেশ পেয়েছে বড় সংগ্রহ। টস হেরে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকরা। সৌম্যর ১৫১ বলে ১৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে টাইগার বাহিনী করে ২৯১ রান। এ লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ শুরু নিউজিল্যান্ডের।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামে নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ।

২৯২ রানের জবাবে নেমে প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে কিউইরা করে ৬১ রান। এরপরে আরও চড়াও হতে থাকেন ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং। তবে ১১তম ওভারের শেষ বলে হাফ সেঞ্চুরির আগে রাচিনকে সাজঘরে পাঠান হাসান। ৩৩ বলে ৪৫ রান করে রিশাদ হোসেনের হাতে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন রাচিন।

রাচিনের পরে উইকেটে আসেন হেনরি নিকোলস। আরেক ওপেনার উইল ইয়াংকে নিয়ে ৩০ ওভারে ১৭৯ রান তুলে ফেলেছে স্বাগতিকরা। দুজনেই হাফসেঞ্চুরি পার করেছেন। জয়ের জন্য দরকার ১২০ বলে ১১৩ রান।

এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। ১২ বলে ব্যক্তিগত ২ রানে অ্যাডাম মিলনের বলে কিউই অধিনায়ক টম লাথামের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন ওপেনার এনামুল হক বিজয়।  ওভারে বলে খোঁচা মারেন তিনি। এরপর ৯ বলে ৬ রান করে জ্যাকব ডাফির বলে হেনরি নিকোলসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটনও ফিরে যান পাওয়ার প্লের মধ্যেই। দশম ওভারের চতুর্থ বলে ১১ বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি।

এরপর সৌম্য ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটি রান বাড়াতে থাকে। হৃদয়ের রানআউটে ৩৪ রানে এই জুটি ভাঙে। ক্লার্কসনের বলে সোজা স্টাম্প বরাবর মারেন সৌম্য। সে সময় হৃদয় ছিলেন নন-স্ট্রাইক প্রান্তের লাইন থেকে একটু দূরে। ক্লার্কসন বলে শরীর লাগিয়ে দিলে রানআউট হন তিনি।

হাফসেঞ্চুরি করার পর দুইবার ‘জীবন ফিরে পান’ সৌম্য। জস ক্লার্কসনের বলে তাঁর ক্যাচ ছেড়ে দেন রাচিন রবীন্দ্র। একই ওভারে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার, রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান সৌম্য।

এরপর জমে ওঠে সৌম্য-মুশফিকুর রহিমের জুটি। ৫৭ বলে ৪৫ রান করে ৯১ রানের জুটি ভেঙে আউট হয়ে যান মুশফিক।

এর মিরাজের সাথে মিলে ৬১ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। ব্যক্তিগত ১৯ রান করে আউট হয়ে যান মিরাজ। এরপর তানজিম ও রিশাদের সঙ্গেও জুটি গড়েন সৌম্য। শেষমেষ ১৬৯ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। তারপর ৫০ ওভার থেকে ১ বল বাকি থাকতে বাংলাদেশ পায় ২৯১ রানের সংগ্রহ। 

Link copied!