সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩, ১২:০৭ এএম
তাওহিদ হৃদয় বুধবার শ্রীলংকায় কথা বলেছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। তার পুরো বক্তব্য তুলে ধরা হলো-
অবশ্যই হতাশ। কারণ, যদিও দলের রেজাল্ট হয়নি। আমার কাছে মনে হয় এটা কোনো কাজের না। যদি দল রেজাল্ট করত, আমরা জিততাম সেক্ষেত্রে তখন নিজের কাছেও একটা সন্তুষ্টি কাজ করত। আশা করি পরবর্তীতে যদি এরকম কোনো সুযোগ আসে চেষ্টা করব, ওখান থেকে ম্যাচটা শেষ করে আসতে।
ভারতের বিপক্ষে দায়িত্ব
আমি আসলে ওইভাবে চিন্তা করি না। কার সঙ্গে খেলা বা কার সঙ্গে দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে বা কম। আমি সবসময় চেষ্টা করি, আমার যে প্রসেস আছে, সেই প্রেসেসে থাকার জন্য। আমি যেদিনই খেলি, চেষ্টা করি দলের জন্য যেন কন্ট্রিবিউট করতে পারি।
ওঠা–নামা
আপস এন্ড ডাউন যেটা বলছেন বা যেটা সবাই বলছে। প্রত্যেকটা ম্যাচে প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ভালো খেলে না এটাই স্বাভাবিক। একটা দুটা ম্যাচে রান করিনি, এর মানে একদম অফ ফর্মে চলে গেলাম, ব্যাপারটা এমনও না। আমার মনে হয় এখানে বোঝার বুল আছে। কিন্তু আমার দল থেকে কোচদের কিংবা খেলোয়াড়দের থেকে কারো এরকম অনুভব হয়নি, আমি এরকম অবস্থায় আছি। আমি মনে করি এখানে না, প্রত্যেকটা আন্তর্জাতিক ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্য। এটা বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ দেখেই না, প্রত্যেকটা ম্যাচই একজন খেলোয়াড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবসময় চেষ্টা করি একজন ব্যাটার হিসেবে আমার দলের জন্য অবদান রাখার জন্য।
আমি আগেই বলেছিলাম, যে জায়গায়ই খেলি, আমার দলের জন্য অবদান রাখা জন্য। যখনই সুযোগ আসে, আমার প্রেসেসের ভেতর থেকে চেষ্টা করি আমার দলের জন্য অবদান রাখতে। যেটা বললেন, মুশফিক ভাই নেই। অবশ্যই এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ হবে। একজ ন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই। আমরা চেষ্টা করব, যারা আছি তার জায়গটা রিকভার রকতে পারি।
দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ও এশিয়া কাপের পার্থক্য
হয়তো এখানো আরো ভালো প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হলাম। অেক অভিজ্ঞ বোলার ফেস করেছি। বোলিংটা দেখেছি। পরিস্থিতি অনেক সময় আলাদা থাকে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার কাছে মনে হয়, প্রত্যেকটা দিন, প্রত্যেকটা ম্যাচ, প্রত্যেকট বল আমার কাছে একই মনে হয়। কোথায় বড় টুর্নামেন্ট, ছোট দল, কোন প্রতিপক্ষ আমি এগুলো আসলে দেখি না। আমি আাসলে চেষ্টা করি বলটা দেখি এবং খেলার চেষ্টা করি। এটা যেকোনো পরিবেশে। হতে পারে সেটা বিশ্বকাপ বা এশিয়া কাপ বা একটা ছোট দলের সঙ্গে সিরিজ। আমি আসলে এভাবেই প্রস্তুত থাকি সবসময়।
ওয়ানডাউন
আমি এখনো চিন্তা করি নাই যে কঠিন। ওয়ানডাউনে ব্যাটিং করার জন্য আমাদের দলের একটা পরিকল্পনা ছিল। আমি নিজেও প্রস্তুত ছিলাম। আমি এখনো বলছি, আমি যেকোনো জায়গার জন্য প্রস্তুত আছি। দল যদি মনে করে যে আমাকে মিডল অর্ডারে খেলাবে, ওয়ানোউনে খেলাবে, আমাকে স্লগে খেলাবে, আমি প্রস্তুত যেকোনো জায়গায় খেলার জন্য।
রানিং বিটউইন দ্য উইকেট
অবশ্যই অনেক হেল্প করে। কারণ, আপনি সময় বাউন্ডারি পাবেন না। যে পজিশনে খেলি, সেখানে রানিং বিটউইন দ্য উইকেট বা সিঙ্গেল খেলাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সবসসময় আপনি বাউন্ডারি পাবেন না। যখন স্ট্রাইক রোটেশন থাকবে, তখন রানটা সচল থাকবে। এটাই চেষ্টা করি রানিং বিটউইন দ্য উইকেটে একের জায়গায় দুই, দুইয়ের জায়গায় তিন নিতে।
ভারত
আমরা আগেও যেটা বলেছি, যেটা আমাদের চলে গেছে সেটা নিয়ে আমরা ভাবি না। বর্তমানে থাকার চেষ্টা করি সবসময়। যেহেতু সামনে আমাদের ভারতের বিপক্ষে খেলা। চেষ্টা করব ফিনিশ করতে। যে ভুলগুলো করেছি, সেগুলো শুধরে যত তাড়াতাড়ি আমরা যেতে পারি।
কোচ বসেছিলেন
সবার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বসেছিলেন (কোচ)। কার সঙ্গে কি কথা হয়েছে, আমার পক্ষে বলার সম্ভব না। আমার সঙ্গে যেটা বলেছে, যেটা সবসময় বলে, আমাকে সাহস নিয়ে খেলার জন্য বলেছে। যেটা আমি খেলি। সে বলেছে, তুমি প্রত্যেক ম্যাচেই রান করবা না, প্রত্যেক ম্যাচেই পারফরম করাবা না, তবে তোমার যে চরিত্র, সেটা পরিবর্তন করবা না।
টপ অর্ডার
আমি যেটা ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের অনেক সময় পরিস্থিতি একক রকম চাহিদা ডিমান্ড করবে। যেকোনো পজিশনে যত দ্রুত খাপখাইয়ে নেওয়া যায়, ততই ভালো। যখন ম্যাচের ভিতের ঢুকে পড়ি তখন অতটুকু সময় নেই। দ্রুত আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। হয়তো আমাদের দু–এক ম্যাচ খারাপ হয়েছে টপ অর্ডারে। দেখেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে খুব ভালো শুরু হয়েছিল। খুব বেশি খারাপ করেছি এমনটাও না। শুধু আমরাই না, প্রত্যেকটা দলেরই এরকম টপ অর্ডার দ্রুত উইকেট চলে যাচ্ছে, বিশেষ করে শ্রীলঙ্কাতে।