বাংলাদেশ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও জয়লাভ করেছে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়েছে তারা। ফলে ৫ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে লিড নিল স্বাগতিকরা। এখন পরের ম্যাচটি জিতলে সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে নিউজিল্যান্ড ১৩৭ রানে থেমেছে। ৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। নাইম শেখ ও লিটন দাস দারুণ জুটি গড়েন ওপেনিংয়ে। ৫৯ রানের জুটি ছিল।৩৩ রানে বোল্ড হন লিটন। আর ৩৯ রানে পরে আউট হন নাইম। এছাড়া বাংলাদেশের ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩২ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন। ৫টি চার ছিল তার হার না মানা ইনিংসে। মিরপুরের পিচ খুবই জটিল। ১৪১ রানই যে পাহাড়সম হবে সেটা বোঝাই যাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ডের রচিন রবিন্দ্র ২২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন।
নিউজিল্যান্ড মাঠা ঠান্ডা রেখেছিল। স্লো উইকেটে যেমন রাখতে হয়। যদিও ১৮ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। ব্লান্ডেল ৬ ও রবিন্দ্র ১০ রানে ফেরেন। অধিনায়ক টম লাথাম শেষ অবধি লড়াই করে গেছেন। ৪৯ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। ৬টি চার ও ১টি ছক্কা তার ইনিংসে। এছাড়া ২২ রান করেছেন উইল ইয়ং।
এই ম্যাচটি নিউজিল্যান্ডের জয়ের সুযোগ ছিল। মোস্তাফিজুর রহমান শেষ ওভার বল করছিলেন। ১ বলে ৬ রান দরকার ছিল। স্ট্রাইকে ছিলেন লাথাম। কিন্তু লাথাম পারলেন না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন জয়ের নজির আছে। মোস্তাফিজ দারুণ বল করেছেন। যদিও শেষ ওভারে নো বল ও ৪ হজম করায় বিপত্তি হতে পারতো। যদিও তিনি উইকেট পাননি। সাকিব ও মাহেদি ২টি করে উইকেট পেয়েছেন।
আজকের উইকেটটা একটু ভাল ছিল, মিরপুরের বিবেচনাতে বেশ ভাল বলা যেতেই পারে। যে উইকেটে ১০০ রানই কঠিন সেখানে বাংলাদেশের করা ১৪১ রানটা আরেকটু সতর্ক আর ভুল কম করলে ১৫০ থেকে ১৬০ হতে পারতো অনেক সহজে। মিরপুরের সাম্প্রতিক উইকেটের রিপোর্ট অনুযায়ী বেশ ভাল বলা যেতে পারে আজকের উইকেট।
সুতরাং নিউজিল্যান্ডও একদম খারাপ করবে না সেই প্রত্যাশায় ছিল। ১৪১ রানের টার্গেটে শুরুটা ভাল করলেও শেখ মাহেদী ও সাকিবের জোড়া আঘাতে শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। সেখান থেকে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করেন টম ল্যাথাম-ইয়ং। ১০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান করে নিউজিল্যান্ড। পরের দশ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ৮৫। ৬০ বলে ৮৫ বা ওভারপ্রতি সাড়ে আট রান খুব একটা দূরের বা সহজ পথ না।
১১তম ওভারে ৪৩ রানের মোটামুটি ভয়ংকর পার্টনারশিপটা ভেঙে দেন সাকিব, ইয়ং ফিরে যান ২২ রানেই। ৯ ওভারে ওভারপ্রতি ৯ রান করে তখন রান দরকার ৮১। ১২ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান হয়ে গেল ৭১, যেখানে সাইফুদ্দিন দিলেন ১0 রান। প্রথম ওভারে ৯ রান দেওয়া মুস্তাফিজ নিজের দ্বিতীয় ওভারে দিলেন তিন রান, ১৩ ওভার শেষে রান ৭৪।১৪তম ওভারে সাইফুদ্দিনকে স্লগ সুইপ করে দারুণ এক ছক্কা হাঁকালেন ল্যাথাম , ওভারে গেল ১১ রান। আর তাতেই ১৪ ওভার শেষে ৮৫ রানে নিউজিল্যান্ড। পরের ওভারেই গ্র্যান্ডহোমকে আউট করেন নাসুম। মাহেদীর বলে ফিরে যান নিকোলসও। শেষ চার ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ৪৮, ওভার প্রতি ১২। শেষ তিন ওভারে রান দরকার ছিল ৩৭।
১৮তম ওভারে মুস্তাফিজ দিলেন ৯ রান, পরের ওভারে সাইফুদ্দিন দেন ৭ রান। শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দরকার ২০ রান। ২ বলে রান দরকার ছিল ১৩ রান, সেখানে মোস্তাফিজ দিলেন নো বল সাথে একটা বাউন্ডারি। যদিও ম্যাচটি আর বের করতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। শেষ অব্দি চার রানে জিতে যায় বাংলাদেশ।