সফররত আইরিশদের বিপক্ষে টেস্ট ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। টেস্ট শেষ করে সাকিব কলকাতা নাইট রাইডার্সে (কেকেআর) যোগ দেবেন, এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন সবাই। তবে এর মধ্যেই খবর বেরিয়েছে-সাকিব এবারের আইপিএলে খেলবেন না।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছ থেকে ছাড়পত্র পেলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষেই আইপিএলে যোগ দিতে পারতেন সাকিব আল হাসান। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলতে বিসিবি আগেভাগেই ছাড়পত্র দেবে সাকিবদের, এমন গুঞ্জন ছিল।
তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শুরু থেকেই বলে আসছিলেন, জাতীয় দলের খেলা থাকলে ক্রিকেটারদের ছাড়া হবে না। তাই সাকিবদের ছাড়পত্র না দিয়ে আইরিশদের বিপক্ষে মঙ্গলবার থেকে শুরু একমাত্র টেস্টের জন্য সাকিবকে অধিনায়ক রেখেই দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
এবারের আইপিএলে না খেলার প্রস্তাবটা এসেছে খোদ সাকিবের ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইটরাইডার্সের কাছ থেকেই। সূত্র জানিয়েছে, টুর্নামেন্টের অনেকটা সময় তারা সাকিবকে দলে না পাওয়ায় সাকিবের পরিবর্তে অন্য কোনো বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিতে চায় কলকাতা নাইটরাইডার্স। আর এই অনুরোধ জানানো হয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে। কলকাতা নাইটরাইডার্স জানিয়েছে, সাকিব না খেললে তার পরিবর্তে তারা অন্য বিদেশি ক্রিকেটার নিতে পারে।
চুক্তি অনুযায়ী, সাকিব চাইলে কলকাতার অনুরোধে সাড়া না দিয়ে শুধু জাতীয় দলের ব্যস্ততার বাইরের সময়টুকুর জন্যই আইপিএলে খেলতে পারতেন। আর চুক্তির শর্ত অনুযায়ি, কলকাতা নাইটরাডার্সও তা মানতে বাধ্য থাকত। তবে অনেক দিনের সম্পর্ক থাকায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রস্তাব মেনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাকিব। তাই এবারের আইপিএলে শেষ পর্যন্ত সাকিব খেলছেন না। তবে এ ব্যাপারে সাকিবের কাছে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি কিছু বলতে চাননি।
কলকাতা নাইটরাইডার্স একই প্রস্তাব দিয়েছিল লিটন দাসকেও। কিন্তু লিটন সে প্রস্তাবে রাজি হননি। তিনি জাতীয় দলের খেলার বাইরের সময়টুকুতে আইপিএল খেলতে চান। বিসিবিও সাকিব, লিটনকে সেভাবেই আইপিএলের জন্য অনাপত্তিপত্র দিয়েছে।
বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মোস্তাফিজুর রহমান অবশ্য এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন আইপিএলে তার দল দিল্লি ক্যাপিটালসে। আয়ারল্যান্ড সিরিজের টেস্ট দলে না থাকায় আইপিএল খেলার ছাড়পত্র পায় মোস্তাফিজ।