ব্যাটিং ধস সামলে দারুণ শতক হাঁকিয়ে আবাহনী লিমিটেডকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর এনে দিয়েছিলেন নাঈম শেখ। কিন্তু আবাহনীর বোলাররা থামাতে পারেননি নবাগত রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের ব্যাটসম্যানদের। ওপেনার জাকির হাসানের সেঞ্চুরি আর মিজানুর রহমানের প্রায় সেঞ্চুরিতে চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে উড়িয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শুভযাত্রা করে রূপগঞ্জ।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) ডিপিএলের উদ্বোধনী দিনে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবহনী মুখোমুখি হয় রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে। আগে ব্যাটিং করে আবাহনী ৯ উইকেটে হারিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষ দলটির সংগ্রহ ২৫৫ রান। রান তাড়া করতে নেমে ৮ ওভার হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় নিয়ে রূপগঞ্জ মাঠ ছাড়ে।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগ খেলতে আসা রূপগঞ্জ উড়ন্ত সূচনা করে। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান-জাকির হাসান ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ১৬৬ রান। মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করে মাঠ ছাড়েন মিজান। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে বোল্ড হন মাত্র ৮২ বলে ৯৩ রান করে। এই ওভারেই প্রথম দুই বলে চার মেরেছিলেন, মাঝে তৃতীয় বলে ডটের পর চতুর্থ বলে বোল্ড।
মিজান আউট হয়ে গেলেও জাকির ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১৩টি চার ও ১ ছয়ে ১০৭ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান জাকির। শেষ পর্যন্ত রাব্বির বলে ১১৬ বলে ১১৭ রান করেন তিনি। মাঝে অপারাজিথ বাবা আউট হন ১১ রান করে। মিজান-জাকিরদের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন মারাশার আইয়ূব (২৩) ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি (১০)।
আবাহনী হয়ে ২টি উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। আর ১টি দেন তানজীম হাসান সাকিব।
এর আগে নাঈম শেখের সেঞ্চুরিতে ভর করে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ২৫৬ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দেয় আবাহনী। এ ছাড়া ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাইফউদ্দিন। ৩৭ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল্লাহ ও ফরহাদ রেজা।
এর আগে নাঈমের ব্যাটে ভর করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে আবাহনী। ব্যাটিং করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে আবাহনী। ৪৮ রান না হতেই দলটি হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। নাঈম এক প্রান্ত আগলে রাখেন।
ওপেনিংয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত তুলে নিলেন লিস্ট ‘এ’র পঞ্চম সেঞ্চুরি। শরিফুল্লাহকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে চার মেরে ৯৫ থেকে যান ৯৯ রানে। পরের বলেই সিঙ্গেল নিয়ে দেখা পান সেঞ্চুরির। ১১৩ বলে ৯ চার ও ২ ছয়ে নাঈম স্পর্শ করেন তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার। শেষ পর্যন্ত নাঈম থামেন ১৩২ বলে ১১৫ রান করে। এ ছাড়া ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাইফউদ্দিন। ৩৭ রান করেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল্লাহ ও ফরহাদ রেজা।