সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিতে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। গত শুক্রবার দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল জিম্বাবুয়ে। তিন ম্যাচের সিরিজের শেষটি হবে শিরোপা নির্ধারণী। রবিবার একই ভেন্যূতে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের জন্য লড়বে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। সিরিজে সমতা থাকায় ম্যাচটি দুদলের জন্যই ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনাল। তাই এই ফাইনাল ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে বাংলাদেশ। ফাইনাল ম্যাচটিতে নিজেদের সেরাটা দিতে চায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচের আগে ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানালেন দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, যেহেতু আর একটা ম্যাচ বাকি আছে। তাই আমরা ওই ম্যাচটা ফাইনাল ম্যাচ হিসেবেই খেলব। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব ম্যাচটি জয়ের জন্য। মাহমুদউল্লাহ বলেন, একটা ম্যাচে আমরা ভালো করতে পারিনি। তার মানে এই নয় যে আমরা খারাপ দল হয়ে গেছি। আজকে ওরা ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমরা ভালো খেলিনি। ফিল্ডিংয়ে কিছু সুযোগ ছিল, আমরা নিতে পারিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এরকম হয়। এই ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন না করি, সেই চেষ্টা থাকবে।
নিজের দল নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, আমাদের ব্যাটিং অর্ডার ও বোলিং, দুই দিকেই আমাদের ফ্লেক্সিবিলিটি আছে। আমি মনে করি তারপরও আমাদের দল দারুণ ব্যালান্সড। আপনি যদি স্পিন বোলিং বিভাগ দেখেন, পেস বোলিং দেখেন, অলরাউন্ডারদের দেখেন, সব জায়গাগুলিই আমরা পূর্ণ করি।
দলীয় পরিকল্পনাগুলো মাঠে কার্যকর করা যায়নি বলেই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে। ম্যাচ হারার কারণ নিয়ে এ মন্তব্য করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের ফিল্ডিং নিয়ে কিছুটা হতাশা থাকলেও ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সিরিজের শেষ ম্যাচটাতে এখন যে কোন মূল্যে জয় পেতে চায় টাইগাররা। প্রথম ম্যাচের শুরুতে অস্বস্তিতে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেদিন ত্রাতা হয়ে দেখা দিয়েছিলেন নাঈম শেখ এবং নুরুল হাসান সোহান। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের টোটকাগুলো কাজে লেগে যাওয়ায় উড়ে গিয়েছিল স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয় ম্যাচের শুরুটাও ছিল প্রথমটার মতোই। প্রথম থেকেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে এলোমেলো দেয়ার প্রত্যয় ছিল স্বাগতিকদের মাঝে। সে ঝড় থামিয়ে দেন দুই স্পিনার। যদিও, ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত বারবার বাঁচিয়ে দেয় জিম্বাবুয়েকে। তাহলে কি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসটাই কাল হলো। অধিনায়ক মানছেন না এটা অপবাদ। মাহমুদুল্লাহ জানান, এক ম্যাচ হারার কারণে, জয়ের মধ্যে থাকা দলটা খারাপ হয়ে যায় না। এভাবে চিন্তা করাটাও ঠিক হবে না। তাই, অধিনায়ক আস্থাবান তার স্কোয়াড নিয়ে। হার জিতের চেয়েও বিশ্বকাপের আগে ছোটখাটো পরীক্ষা চালিয়ে দল গুছিয়ে নেয়াটাকেই প্রাপ্তি বলে মনতে চান তিনি।
এবারের সফরে প্রথমবারের মতো চোখ রাঙাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। তবে ডু অর ডাই ম্যাচটা জিতে শেষ হাসি হাসতে চায় বাংলাদেশ। এখন শুধু অপেক্ষা।আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে চারটায় হারারেতে শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। এরপর দেশে ফিরেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের জন্য প্রস্ততি।