নাইম-সাকিব ছাড়া এলোমেলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক

অক্টোবর ২০, ২০২১, ০৩:৫১ এএম

নাইম-সাকিব ছাড়া এলোমেলো বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াই। এমন ম্যাচে মাসকটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ টসে জিতে ব্যাটিং নিলেন। সাকিব আল হাসান ও নাইম শেখ ছাড়া আর কেউ নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। এমন স্কোর করেছে বাংলাদেশ, যে দূর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে। আর সেক্ষেত্রে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যেতে পারে আজই। বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়েছে ১৫৩ রান করেছে। 

স্কটল্যান্ডের ম্যাচে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে নাইমকে বাদ দিয়ে সৌম্য কে নেওয়া হয়। সৌম্য ফ্লপ করেন। আজ নাইম নেমে ৫০ বলে ৬৪ রান করেছেন ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায়। সাকিব রান আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ৪২ রান করে ফিরেছেন। 

এছাড়া লিটন ৬, মাহেদী ০, নুরুল হাসান ৩, মাহমুদউল্লাহ ১৭, আফিফ ১ ও মুশফিক ৬ রানে ফিরেছেন। সাইফউদ্দিন ও রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন। বাংলাদেশের স্কোর দেখে সুন্দর ও লড়াকু মনে হলেও ওমানের এই রান তাড়া করতে আগেও দেখা গেছে। এমন কিছু যেন আজ না হয় সেটাই প্রার্থনা টাইগার সমর্থকদের।  

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান করেছে বাংলাদেশ। ওমানকে জিততে হলে করতে হবে ১৫৪ রান। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন নাইম। ওমানের পক্ষে ফায়াজ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ৩০ রানের বিনিময়ে।

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে ছিল বাংলাদেশ। তারপর সাকিব-নাইমের ব্যাটে ভর দ্রুত আগাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২৯ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দূর্দান্ত এক রান আউটে প্যাভিলিয়নে ফেরেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। বিপর্যয়ের শুরু সেখানেই।

সাকিব আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন নুরুল হাসান সোহান। মাত্র ৪ বল খেলে ৩ রান করে বাউন্ডারি লাইনের কাছাকাছি ধরা পড়েন। সোহানের বিদায়ের পর আফিফও সোহানের দেখানো পথেই হাটেন। লম্বা শট খেলতে গিয়ে তিনিও আউট হন ক্যাচ দিয়ে। ৫ বল খেলে মাত্র এক রান করেন তিনি।

আফিফের আউটের পর উড়িয়ে খেলতে গিয়ে আউট হন সেট ব্যাটসম্যান নাইম। চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে নিজের ওপর আস্থার প্রতিদান দিতে কার্পণ্য করেননি তিনি। আউট হওয়ার আগে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৫০ বলে ৬৪ রান করেন তিনি।

নাইমের আউটের পর বাংলাদেশ দলের হাল ধরেন দুই ভায়রা ভাই মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিক। কিন্তু গত ম্যাচে ভালো খেলা মুশফিক এই ম্যাচে ব্যর্থ। তিনি ফায়াজের একটি আপিশ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৪ বলে ৬ রান করে আউট হন।

মুশফিকের পর সাইফুদ্দিন নেমে এক বল খেলে শূন্য রানে ফেরেন। ১৫১ রানের মাথায় বিলালের স্লোয়ারে বোল্ড হয়ে ১০ বলে ১৭ রান করে আউট হন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। পরে ইনিংসের শেষ বলে ক্যাচ তুলেন মুস্তাফিজ। সব উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

Link copied!