সুনীল ছেত্রীর ৭৯ ও ৯০(৯০+২) মিনিটে করা গোলে ভারত ২-০ ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশকে। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ৭ ম্যাচে বাংলাদেশের এখন মাত্র ২ টি পয়েন্টই। ভারতের ৬ পয়েন্ট হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশ ১৫ জুন ওমানের সঙ্গে খেলবে। এরপর দেশে ফিরবে।
দারণ ক্রস বক্সে হেডের মাধ্যমে গোল করেন ছেত্রী। অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ভারতকে বাছাইয়ে প্রথম জয় এনে দিলেন।
এরপর ভারত হালকা মেজাজে খেলেছে। বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরতে পারেননি। বল পজিশন ভারতই এগিয়ে থেকেছে।
বাংলাদেশ ও ভারত সর্বশেষ ম্যাচে সল্ট লেকে ১-১ গোলে ড্র করেছিলো। ২০০৩ সালের পর বাংলাদেশের জয় নেই ভারতের বিপক্ষে।
ম্যাচের ৭২ মিনিটে শুভাশিস বসু হেড করলেও গোল করতে ব্যর্থ হন। জেমি ৪-৩-২-১ ফরম্যাশনে খেলান। এতে ভারত বেশ চাপে ছিল।
মাঠে এয়ারকন্ডিশন ব্যবস্থা থাকায় তাপমাত্রা ২৭-২৮ থাকলেও বাংলাদেশী ফুটবলাররা কিছুটা ক্লান্ত ছিলেন।
ম্যাচের ৬২ মিনিটে সুনীল বক্সে আনমার্ক ছিলেন। হেড করলেও গোল করতে পারেননি।
মাঠে দর্শক এসেছিলেন। জামাল আগের দিন বলেছিলেন সমর্থকদের মাঠে আসতে। লাল সবুজের পতাকা নিয়ে হাজির ছিলেন প্রবাসী সমর্থকরা।
দ্বিতীয় অর্ধে আত্মবিশ্বাসের সাথে খেলতে থাকে। ভারত সুবিধা করতে পারছিল না। বাংলাদেশ বল পজিশনে থাকার চেষ্টা করতে থাকে। একটু গুছিয়ে খেলতে চাইছিল জেমি ডের শিষ্যরা।
ভারত দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী দল। ফিফার তালিকায় বাংলাদেশ যেখানে ১৮৪ ভারত ১০৫। ৭৯ ধাপ পেছনের বাংলাদেশ ভারতকে প্রথমার্ধে গোলশূন্য রেখেছিল। গত ১২ বছর বাংলাদেশ ভারতের কাছে হারেনি এটা মাথায় রেখে খেলতে নেমেছিলেন জামালরা। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা দারুণ খেলেছেন। ভারত নিশ্চিত দুটি গোল পেতে পারতো প্রথমার্ধে। কিন্তু সেটা হয়নি তপু ও তারিক কাজীদের জন্য। সুনীল ছেত্রীর হেডও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশ ম্যাচের ৯ মিনিটে চেষ্টা করে পারেনি। গোল হয়নি। ভারত বল পজিশনে এগিয়ে ছিল। ৭৫ ভাগ বল তাদের পায়ে ছিল। ৩৫ মিনিটে গোললাইনে রিয়াদুল হাসানকে বাংলাদেশকে বাঁচান। সানা সিং হেড করেছিলেন। উরু দিয়ে গোললাইনে থাকা অবস্থায় বল রুখে দেন। ভারতীয় ফুটবলাররা প্রথমার্ধের শেষ দিকে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। যদিও বাংলাদেশ ভাল ক্লিয়ার করায় সে যাত্রায় গোলশূন্যই থাকে।