জয় দিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু করতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যে কোন কন্ডিশনে ভাল করতে বাংলাদেশ দলের জন্য অনুপ্রেরনা খুবই গুরুত্বপুর্ন। পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখে আজ অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক বলেন,‘ টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভাল করার বিষয়টি ছিল খুবই প্রত্যাশিত। তবে আমরা সেটি পুরণে ব্যর্থ হয়েছি। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ দলের জন্য ভাল শুরটা সব সময় গুরুত্বপুর্ন। তাই পুরো সিরিজে অনুপ্রানীত হতে ভাল একটি সুচনার অপেক্ষায় আছি আমরা।’
সদ্য সমাপ্ত টি-২০ বিশ্বকাপের পর সম্পুর্ন নতুন ভাবে এই সিরিজ শুরু করতে চায় টিম বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ আসরের সুপার টুয়েলভ পর্বে কোন ম্যাচে জয় না পাওয়া দল থেকে ছয়জন খেলোয়াড় এবারের সিরিজের জন্য গঠিত দলে ডাক পেয়েছেন। সেই সঙ্গে ডাক পেয়েছে নবাগত চার ক্রিকেটার। দলটি বাছাইপর্বে স্কটল্যান্ডের কাছেও পরাজয়ের স্বাদ নিয়েছে। যে কারণে মুল পর্বে খেলার সুযোগ হুমকিতে পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওমান ও পাপুয়া নিউ গিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ পর্বে খেলার সুযোগ লাভ করে টাইগাররা।
দীর্ঘ সময় পর দেশের তিন শীর্ষ তারকাকে ছাড়া সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল ইনজুরির কারণে দলে নেই। আর অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে বিশ্রামে পাঠানো হয়েছে। দলের মধ্যে সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে টিকে আছেন রিয়াদ। বিশ্বকাপে ব্যর্থতা সত্বেও তার হাতেই রয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।
বিশ্বকাপ দলে অংশ নেয়া লিটন দাস, সৌম্য সরকার এবং রুবেল হোসনকে স্কোয়াডে রাখা হয়নি। আর পিঠের ইনজুরির কারণে স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন অল রাউন্ডার সাইফুদ্দিন। এর বাইরে পুনরায় দলভুক্ত হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। এই ফর্মেটে নতুন মুখ হিসেবে ডাক পেয়েছেন অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলি, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলি চৌধুরী ও পেসার শহিদুল ইসলাম।
বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর দলে সামান্য কিছু পরিবর্তন প্রত্যাশিত হলেও এভাবে বড় রদবদল প্রত্যাশিত ছিল না। রিয়াদ বলেন, এই মুহুর্তে বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলার ইচ্ছে নেই তার। এখন তার পুরো মনোযোগ আসন্ন টি-২০ সিরিজে। নতুন ডাক পাওয়া ক্রিকেটাররা ভাল খেলে নিজেদের প্রমান করতে মুখিয়ে আছেন উল্লেখ করে মাহমুদুল্লাহ বলেন,‘ আমরা এখন শুধুমাত্র টি-২০ সিরিজের প্রতি মনোযোগী। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে ভাল খেলা। বিশ্বকাপের ঘটনা এখন অতীত। সেটি নিয়ে কথা বললে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আমরা ইতিবাচক থাকতে চাই। এখনো সিরিজটি যথেস্ট চ্যালেঞ্জিং। কারণ এই মুহুর্তে পাকিস্তান হচ্ছে বিশ্ব সেরা দলগুলোর একটি।